এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে!

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –ফের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যের বিরুদ্ধে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে বিরোধীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে সবথেকে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছে। ভয়াবহ দুর্যোগের পর মানুষকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য তৃনমূল নেতারা আত্মসাৎ করেছেন বলে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল।

যার জেরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয়েছিল পদক্ষেপ। আশা করা হয়েছিল, দলের পক্ষ থেকে যেহেতু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, সেহেতু তৃণমূল নেতারা এবার এই দুর্নীতিমূলক কাজের সঙ্গে নিজেদেরকে আর জড়াবেন না। কিন্তু আবারও কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ 2 ব্লকের ভানুকুমারি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল।

জানা যায়, এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের সদস্য মতিজুল হক প্রায় এক বছর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর পাইনি দেওয়ার নাম করে 14 জন গ্রামবাসীর কাছ থেকে 13 হাজার টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই সমস্ত গ্রামবাসীরা ঘর পাননি। জানা গেছে, যাদের কাছ থেকে সেই তৃণমূল নেতা এই ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছেন, সেই পরিবারগুলো অত্যন্ত দরিদ্র। ইটভাটায় কাজ করে কোনোরকমে তারা সংসার চালান। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তারা বাড়ি না পাওয়ায় এখন সেই পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে টাকা চাইতে গেলে সেই তৃনমূল নেতা তাদের টাকা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। যার ফলে বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেই সমস্ত বাসিন্দারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই প্রশ্ন, যেখানে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের স্বচ্ছ নেতাদের সামনে আনতে শুরু করেছেন, সেখানে এভাবে যদি নীচুতলার তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেন, তাহলে তৃণমূলের ভাবমূর্তি কিভাবে স্বচ্ছ হবে? অনেকে বলছেন, এর ফলে তৃণমূলের অস্বস্তি যেমন বাড়বে, ঠিক তেমনই বিরোধীরা মাঠে নেমে বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও বেশি করে শাসকদলকে বিরম্বনায় ফেলতে তৎপর হবে।

এদিন এই প্রসঙ্গে ভানুকুমারি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিপ্রা দাস বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য বিডিও অফিস থেকে নির্দেশ এসেছে। আমরা তদন্তের কাজ শুরু করেছি। অন্যদিকে এই ব্যাপারে ভানুকুমারি 2 নম্বর অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সুজিত ঘোষ বলেন, “অভিযোগ পেতেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এই ধরনের লোক আমাদের দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। দলের কোনো কর্মসূচিতে তিনি আর যোগদান করতে পারবেন না।” তবে এই গোটা ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তুফানগঞ্জ বিধানসভায় বিজেপির সংযোজক উৎপল দাস বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করার তৃনমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা জন্মগত অধিকার করে নিয়েছে।” কিন্তু যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য মতিজুল হক কি বলছেন? এদিন তিনি বলেন, “আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। তদন্ত করা হলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।” সব মিলিয়ে এবার তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং এর ফলে তৃণমূল কংগ্রেস কতটা অস্বস্তিতে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!