পরিকল্পনা করে তৃণমূলের ব্রিগেড ‘ভণ্ডুল’ করতে চাইছে রেলমন্ত্রক! তাই বিকল্প ব্যবস্থার ঘোষণা হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার জাতীয় রাজ্য January 18, 2019 আর মাত্র একদিনের অপেক্ষা! রাত পেরোলেই তৃণমূলের বহু কাঙ্খিত ১৯ জানুয়ারির ভোর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই কোলকাতায় ঝাঁকে ঝাঁকে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা আসা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের জন্যে তৃণমূলের উদ্যোগে শিয়ালদহ এবং হাওড়ার বিভিন্ন জায়গায় থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওদিকে ব্রিগেডের প্যারেড গ্রাউন্ড সেজে উঠেছে তৃণমূলের ফেস্টুন,হোডিং,পোস্টারে। আগামীকাল এখান থেকেই দেশের বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী হেভিওয়েট নেতাদের উপস্থিতিতে বিজেপি মুক্ত ভারত গড়ার ডাক দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সবমিলিয়েই কর্মসূচির আগের দিন চূড়ান্ত কর্মব্যস্ততা রয়েছে শাসকশিবিরে। এরমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে রেলমন্ত্রকের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযোগ আনলেন জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী। বললেন, তৃণমূল কর্মীদের ব্রিগেড যেতে অসহযোগিতা করছে রেল। আর সেজন্যেই তাঁদেরকে ট্রেনের বদলে বাস এবং ছোট গাড়ি ভাড়া করে ব্রিগেড যেতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত,গতকাল জলপাইগুড়িতে টাউন স্টেশনে তিস্তা তোর্ষা এক্সপ্রেসে যাওয়ার তদারকি করতে এসেছিলেন সৌরভ বাবু। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন রেলমন্ত্রক স্বতপ্রণোদিতভাবে কর্মীদের ব্রিগেড যেতে বাধা দিতে এরকম অসহযোগিতা করছে। তাই এবার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরাই কর্মীদের সঙ্গে ট্রেন সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যেকোনো ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অভিযোগে তিনি আরো জানান,ব্রিগেডে যাওয়ার জন্যে আলাদা বগির আবেদন করা হলেও রেলমন্ত্রক সেটা দেয়নি। তাছাড়া বিহারের সীমান্তবর্তী এলাকায় তৃণমূল কর্মীদের ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে পাথরও ছোঁড়া হয়। RPF ট্রেন থেকে তৃণমূল কর্মীদেরকে নামিয়ে দিচ্ছে। তৃণমূল কর্মীদের ব্যাজ দেখলেই ব্যাগ চেক করছে। ইচ্ছে করে ট্রেনও বাতিল করছে তারা। মাঝে মাঝে ট্রেন লেট করানো হচ্ছে। যেহেতু রেলমন্ত্রক বিজেপি সরকারের আওতায়,তাই তৃণমূলের কর্মসূচি এভাবে বানচাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে বলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এতো বড় সর্বভারতীয় জনসমাবেশ হচ্ছে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের বুঝতে আর বাকি নেই,বিজেপির শেষের শুরুর ডামামা বেজে গিয়েছে। তাই ইচ্ছে করেই তৃণমূল কর্মীদের ব্রিগেডে যেতে বাধা দিচ্ছে বিজেপি। তবে এভাবে তৃণমূল কর্মীদের আটকানো যাবে না বলে গর্জে উঠে জানালেন তিনি। বললেন,শুধু জলপাইগুড়ি জেলা থেকেই ৫০ হাজার মানুষ নিয়ে গিয়ে ব্রিগেডের মাঠ ভরাবেন তিনি। ট্রেনের পরিবর্তে ১১২ টি বাস ভাড়া করা হয়েছে। এছাড়া নেওয়া হয়েছে ৬ টি বিলাসবহুল বাস। এছাড়া ৩০০ টি ছোট গাড়িও ভাড়া নেওয়া হয়েছে। যাদের ট্রেনে যেতে সমস্যা হবে তাঁরা এইসব গাড়িতে করে ব্রিগেড যেতে পারবেন বলে জানালেন তিনি। উল্লেখ্য,গতকাল টাউন স্টেশনে সৌরভ চক্রবর্তী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহন বোস, তৃণমূল নেতা সন্দীপ মাহাত, তপন ভট্টাচার্যরা। এঁরা সকলেই কর্মীদের ট্রেনে তুলে দিয়ে তাঁদের হাতে জলখাবারও দিয়ে নিজেদের সহযোগীতার ভাবমূর্তি তুলে ধরেন। আপনার মতামত জানান -