এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > লোকসভায় ভরাডুবি হতেই মাদার-যুব-ছাত্র – সব সংগঠনই ঢেলে সাজাচ্ছে শাসকদল

লোকসভায় ভরাডুবি হতেই মাদার-যুব-ছাত্র – সব সংগঠনই ঢেলে সাজাচ্ছে শাসকদল

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহল এবং বাঁকুড়া জেলায় তৃণমূলের কার্যত ভরাডুবি হয়েছে। আর এই খারাপ ফলাফলের পরই তৃণমূল জেলা সভাপতি ও যুব সভাপতি পদে পরিবর্তন করে শাসক দল। আর এবার ছাত্র সংগঠনকে চাঙ্গা করতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি পদে বদল করা হল। প্রসঙ্গত, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই জেলার একের পর এক কলেজে শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের রাশ আলগা হতে শুরু করে। আর তার জেরেই এই বদল আনা হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

প্রায় বেশ কয়বছর ধরে জেলা টিএমসিপির সভাপতির দায়িত্বে থাকা চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে তীর্থঙ্কর কুণ্ডুকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, প্রায় দুই দিন আগে তৃনমূলের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেন। জানা যায়, গত কয়েক বছরে যখন তৃণমূল চরম সাফল্য পেয়েছিল, তখন এই বাঁকুড়া জেলার ২৪ টি কলেজে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।

ছাত্র নেতাদের দাবি, এই সময়ে জেলা সভাপতি সাংগঠনিক স্তরে যোগ্য কাউকে দায়িত্ব না দিয়ে নিজের পছন্দের লোকজনকে দায়িত্ব বণ্টন করেছেন। কলেজে কলেজে নেতৃত্বের এই মনোভাবের জেরে গোষ্ঠীকোন্দল ও ক্ষোভ ক্রমশ বাড়তে থাকে। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গত এক বছরে নিঃশব্দে এবিভিপি ক্রমশ নিজেদের সংগঠন মজবুত করতে শুরু করে। সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল এখানে ধাক্কা খাওয়ার পরেই বিজেপির ছাত্র সংগঠন কলেজগুলিতে নিজেদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিছুদিন আগেই ওন্দা ও সারেঙ্গার পিড়লগাড়ি মোড়ে পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু কলেজের ছাত্র সংসদের দখল নিয়ে নেওয়া হয়। আর এর কিছু মাসের মধ্যেই বাঁকুড়া জেলার ১৩ টি কলেজে প্রকাশ্যেই তাদের ইউনিট আত্মপ্রকাশ করে। যেখানে কলেজ ইউনিটগুলিতে এবিভিপির নেতৃত্বে অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিক্ষুব্ধরাই। কিন্তু তারপরেও তৃনমূলের ছাত্র সংগঠনের জেলা সভাপতির কোনও হেলদোল দেখা যায়নি। যার পরেই জেলা নেতৃত্বের টনক নড়তে শুরু করে। পাশাপাশি অনেকেই উপলব্ধি করে যে বর্তমান সভাপতির পক্ষে ছাত্র সংগঠনে যে ক্ষত হয়েছে, তা মেরামত করা সম্ভব নয়।

তাই তাঁরা রাজ্যস্তরে সেই ছাত্র সংগঠনের সভাপতি পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করেন। আর সেই মতোই দুদিন আগে ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বাঁকুড়ায় জেলা সভাপতি পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেন। এদিন এই প্রসঙ্গে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিদায়ী সভাপতি চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কী কারণে আমাকে সরানো হল তা দল আমাকে জানায়নি। গত ছ’বছরে আমি নিঃস্বার্থভাবে দলের সৈনিক হিসেবে কাজ করেছি।”

অন্যদিকে নতুন দায়িত্ব পাওয়া তীর্থ কুণ্ডু বলেন, “দল যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে, তা যথাযথভাবে পালন করার চেষ্টা করব। পাশাপাশি যে সমস্ত কলেজে সাংগঠনিক দ্বন্দ্ব বা সমস্যা রয়েছে দ্রুত সেগুলি মিটিয়ে সমস্ত ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করব।” সব মিলিয়ে বাঁকুড়া জেলায় তৃনমূলের সংগঠনে একাধিক রদবদল। কিন্তু, যেভাবে গোটা বাঁকুড়া জুড়ে গেরুয়া-বিপ্লবে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেছে ঘফুল শিবির – তাতে করে, নেতৃত্ত্বের এই রদবদল করেও তা কতটা আটকানো যাবে তাই নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!