পঞ্চায়েত প্রধানকে খুন করে পুলিশের জালে জেলা পরিষদের সদস্য, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল বর্ধমান রাজ্য August 18, 2018 রাজ্যজুড়ে যখন শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে মাঠে নামছে বিরোধীরা, ঠিক তখনই নিজের দলের নেতার হাতে অন্য নেতা খুন হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠায় তীব্র অস্বস্তিতে পড়ল তৃনমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, চলতি বছরের ২৪ মার্চ কালনা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সুলতানপুর পঞ্চায়েত প্রধান তথা তৃনমূল নেতা সুকুর আলি শেখ হরিশঙ্করপুর মোড়ের কাছে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হন। এদিকে শুধু সুকুর আলি শেখ নয়, তাঁর সাথে থাকা বাপন শেখ নামে এক তৃনমূল কর্মীও গুলিবিদ্ধ হন। আর এই খুনে কয়েকজন তৃনমূল কর্মীদের নাম জড়ায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় প্রথমে ১৯ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়। আর এরপরই এই খুনের ঘটনার ঠিক ৯০ দিন পরে এই কেসের তদন্তকারী অফিসার সঞ্জয় ওঁরাও ৩৬ জনের নামে একটি চার্জশিট পেশ করলে তাতে এই খুনে জড়িত বেশ কয়েকজন তৃনমূল নেতার নাম বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ ওঠে স্থানীয়স্তরে। তবে শান্তি চাল নামে এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এক তৃনমূল নেতার নাম সেই তালিকায় থেকেই যায়। জানা যায়, এরপর থেকেই কার্যত ফেরার হয়ে যান শাসকদলের ওই নেতা। তবে গত বুধবার স্বাধীনতা দিবসের দিন তাঁকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে বুলবুলিতলা ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন ১৫ ই আগষ্টের অনুষ্ঠানে যোগদান করতে আসার সময়েই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এদিকে, গত বৃহস্পতিবার সেই তৃনমূল নেতা খুনে ধৃত তৃনমূলেরই আরেক নেতা শান্তি চালকে কালনা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। যার ফলে এদিন আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ধৃত ওই তৃনমূল নেতা। এদিকে দাদার খুনে মূল অভিযুক্ত শান্তি চাল গ্রেপ্তার হলেও সাদেক খান সহ বাকি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান মৃত সুকুর আলি শেখের ভাই নাসির আলি শেখ। তবে তৃনমূল নেতা খুনে এইভাবে অপর তৃনমূল নেতা গ্রেপ্তার হওয়ায় অনেকেই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে প্রকট ভাবে দেখলেও তা সম্পূর্নরূপে উড়িয়ে দিয়ে তৃনমূলের কালনা ১ নম্বর ব্লক সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহরায় বলেন, “সেদিন যা হয়েছে তা অন্যায়, পুলিশ তদন্ত করছে, আইন আইনের পথে চলবে”। সব মিলিয়ে শাসকদলের কর্মীকে খুন করে এখন শ্রীঘরে দিন কাটাতে হচ্ছে সেই শাসকদলেরই অপর কর্মীকে, আর যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না বিরোধী দলের নেতা-কর্মীরা। আপনার মতামত জানান -