এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলে এতদিন ধরে চলে আসা কড়া নিয়ম ভেঙে টুকরো টুকরো! বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে মমতা-অভিষেকের?

তৃণমূলে এতদিন ধরে চলে আসা কড়া নিয়ম ভেঙে টুকরো টুকরো! বিধানসভার আগে ঘুম উড়ছে মমতা-অভিষেকের?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে শেষ কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কথা মতই সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। তাই বিভিন্ন জেলাতে যখন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়, তখন সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকে। কিন্তু এখন অনেক জেলাতেই দেখা যাচ্ছে, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি অপেক্ষা স্থানীয় নেতা নেত্রীদের ছবি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।

যা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে জেলা নেতৃত্বের রাজ্য নেতৃত্ব কপালে। যেখানে বারবার বলা হচ্ছে, দলে শেষ কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে বিভিন্ন জেলার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে কেন জেলা নেতাদের পোস্টার দেওয়া ছবি দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নানা তৃণমূল নেতার ছবি দিয়ে রাজনৈতিক প্রচার করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি নেই বললেই চলে। আর তাই জেলাজুড়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কেন এই রকম প্রচার হচ্ছে?

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস। তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে দলের হয়ে কোনো প্রচারমূলক পোস্ট করা হবে না। যদি করতে হয়, তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচার করুক। আমার নামে কোনো প্রচার করতে হবে না। কেউ এই নির্দেশ না মানলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আর এখানেই প্রশ্ন, রাজ্য থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব বারবার এই কথা বলার চেষ্টা করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তা সত্ত্বেও যেভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি গোটা রাজ্য জুড়ে প্রায় প্রত্যেক জেলাতেই স্থানীয় নেতাদের ছবি বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে, তাতে তৃণমূলের আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো একজন কর্মী যদি স্থানীয় কোনো এক নেতার বন্দনা করতে শুরু করেন, তাহলে অপর গোষ্ঠীর নেতার বিড়ম্বনা বাড়বে। যার ফলে তৈরি হবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি এইভাবে নেতারা নিজেদের প্রচার করতে শুরু করেন, তাহলে তা শাসকদলের ক্ষেত্রে বড়সড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের প্রার্থী কে হবে, তা নিয়ে অর্পিতা ঘোষ এবং বিপ্লব মিত্র অনুগামীদের মধ্যে ব্যাপক তরজা সৃষ্টি হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে যার অনুগামী, সে সেই নেতার হয়ে সওয়াল করেছিলেন। যার ফলে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে নেতাদের বন্দনা করা যে পোষ্ট দেখা যাচ্ছে, তাতে আবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে।

তাই অবিলম্বে এই সমস্ত পোস্ট বন্ধ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যাতে প্রচার করা হয়, তার জন্য বার্তা দিতে শুরু করেছে জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু অতীতেও এই রকম বার্তা বারবার দেওয়া হয়েছে। তারপরেও কর্মীরা নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছেন। তাই এবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার এইরকম বিতর্কিত পোস্ট হওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় এবং তাতে এই প্রবণতা আদৌ কমে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!