এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুকুল রায়ের পর এবার সৌমিত্র খাঁয়ের হাত ধরে আদালতে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার – জানুন বিস্তারিত

মুকুল রায়ের পর এবার সৌমিত্র খাঁয়ের হাত ধরে আদালতে বড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার – জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদান করার পরেই অভিযোগ জানান, যে বর্তমান রাজ্য সরকার তাঁর উপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে চাইছে। মুকুলবাবুর সুস্পষ্ট অভিযোগ ছিল, তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তাঁর বিরুদ্ধে একটা জিডি বা এফআইআর পর্যন্ত হয় নি, এমনকি প্রবল বাম জমানাতেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু তিনি বিজেপিতে যোগদানের পরেই, রাজ্য প্রশাসন তাঁকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছেন।

যদিও মুকুলবাবুর বক্তব্য ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ যে কাল্পনিক তার বড় প্রমান, আদালত তাঁর গ্রেপ্তারির উপর বারেবারেই স্থগিতাদেশ দিচ্ছে। একই সঙ্গে মুকুলবাবু জানিয়েছিলেন যে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে পেরে না উঠেই এইভাবে তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে গ্রেপ্তার করতে চাইছে। তাছাড়া তিনি নাকি দল ছাড়ার পরে বহু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন – তাঁদেরকেও আটকানোর জন্য এইভাবে মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মুকুলবাবুর এই অভিযোগ নিয়ে আরও ঝড় ওঠে, যখন বিষ্ণুপুরের হেভিওয়েট সাংসদ সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান অঘোষিত দু নম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দল ছাড়েন। আর তারপরেই সৌমিত্রবাবুর বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর ধারায় অভিযোগ জমা পড়তে থাকে ও জল্পনা ছড়ায় তাঁকে নাকি গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

কিন্তু, মুকুলবাবুর পরে এবার সৌমিত্রবাবুকেও এখনই গ্রেপ্তার করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল আদালত। এই প্রসঙ্গে সৌমিত্রবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির হাওয়া সৌমিত্রবাবুর শিবিরে। প্রসঙ্গত, সৌমিত্রবাবু ঘাসফুল শিবির ছাড়তেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলার পাশাপাশি তাঁর আত্মীয়ের বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ও সেখানে ঢিল ছুঁড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে তিনি আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন। একই সঙ্গে প্রত্যয়ী সৌমিত্রবাবু জানিয়েছিলেন – আসল লড়াইটা নির্বাচনের ময়দানে হবে এবং দরকারে তিনি পাশের লোকসভা আসনে দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হতেও প্রস্তুত, সঙ্গে এটা বুঝিয়ে দিতে – জনগণ আসলে কার পাশে আছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!