এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > BREAKING- BJP ছাড়ছেন মুকুল রায়? খোদ তৃণমূলের মুখপাত্রের পোস্টে তীব্র জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে!

BREAKING- BJP ছাড়ছেন মুকুল রায়? খোদ তৃণমূলের মুখপাত্রের পোস্টে তীব্র জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে!


বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সংবাদমাধ্যমের খবরের একদম শীর্ষে রয়েছেন বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য হিসাবে পরিচিত বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বিগত আড়াই বছর ধরে তিনি রয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তৃণমূল ছেড়ে যখন তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তখনও তিনি ছিলেন অন্যতম শীর্ষ পদে। সঙ্গে ছিল রাজ্যসভার সাংসদ পদ। কিন্তু, বিজেপিতে যোগ দিয়ে এই আড়াই বছরে একের পর এক নির্বাচনে সাফল্য দিয়েও তাঁর কপালে জুটেছে শুধুমাত্র ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য পদ।

অন্যদিকে বারেবারেই শোনা যায় মুকুলবাবু বিজেপিতে পদ পেলেন বলে! কিন্তু তা আর বাস্তবের রূপ নেয় না। এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষ দ্বিতীয়বারের জন্য রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে বেছে নিয়েছেন নিজের কমিটি – সেখানেও যথারীতি ঠাঁই হয় নি মুকুল রায়ের। ফলে, তাঁকে নিয়ে জল্পনা বাড়তে থাকে। এরই মধ্যে দিল্লি বিজেপির তরফে খবর আসে – এবার মুকুল রায়কে একেবারে পূর্ণমন্ত্রী করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় নিয়ে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আর তারপরেই জল্পনা বাড়িয়ে অমিত শাহের সাভার দিন গত ৮ ই জুন দিল্লি উড়ে যান মুকুলবাবু। কিন্তু, এরই মাঝে তৃণমূলে এক মুখপাত্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় করা এক পোস্ট ঘিরে তীব্র জল্পনা ছড়ালো রাজ্য রাজনীতিতে। তৃণমূলের ওই মুখপাত্র গত ৮ তারিখ অমিত শাহের বক্তব্য রাখার আগে মুকুলবাবু যখন বক্তব্য রাখছিলেন – তার একটি স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন নিজের ওয়ালে। আর তার সঙ্গেই লিখেছেন –

বাঁ হাতে করোনা আসে,
ডান হাতে আসে না !
বিজেপি ছাড়ব, তবে;
এই জুন মাসে, না ।

প্রসঙ্গত, ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মুকুলবাবু করোনা আবহে সাবধানতা অবলম্বন করতে হাতে নীল রঙের গ্লাভস পড়েছেন। কিন্তু, বক্তব্য রাখার সময় কোনো কারণে তাঁর ডান হাতে গ্লাভসটি খোলা আছে। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই পোস্ট! কিন্তু, পোস্টের পরের ২ লাইনেই সব থেকে বেশি জল্পনা ছড়িয়েছে। মুকুলবাবু কোথাও বলেননি তিনি বিজেপি ছাড়তে চান। এমনকি তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলেও এমন কোনো ইঙ্গিত নেই। উল্টে তাঁকে কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী করার কথা ভাবছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। তাহলে এই ধরনের পোস্টের মানে কি?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষ করে, তৃণমূলের যে মুখপাত্র এই পোস্টটি করেছেন – তিনি তৃণমূলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এমনকি, তাঁকেই নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মাথায় বসাতে চান বলে কিছুদিন আগেই জল্পনা ছড়িয়েছিল। তাহলে তিনি যখন বলছেন, তাহলে কি তৃণমূল কংগ্রেসই মুকুলবাবুকে দলে ফেরাতে মরিয়া? দলীয় স্তরে এই ধরনের কোনো কথা হয়েছে? তিনি শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের এত ঘনিষ্ঠ যখন, তাহলে কি ঘাসফুল শিবিরের শীর্ষ স্তরের কোথাও থেকেই তিনি এই ইঙ্গিত পেয়েছেন?

এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া নেওয়ার জন্য মুকুলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, তিনি দিল্লিতে থাকায় যোগাযোগ করা যায় নি। কিন্তু এই প্রসঙ্গে মুকুলবাবুর এক ঘনিষ্ঠ অনুগামী রীতিমত বিস্ফোরক। তিনি জানান, দাদা যখন তৃণমূল ছেড়েছিল, তখন বলা হয়েছিল, ‘কাঁচরাপাড়ার ক্যাঁচড়া মাল’! মীরজাফর, গদ্দার থেকে চাটনিদাদু – শালীনতার সব সীমা লঙ্ঘন করে – কুৎসিত আক্রমন করতে বাকি রাখা হয় নি! এখন সেই মুকুল রায় বিজেপিতে থাকলেন না বাড়িতে বসে থাকলেন – তা নিয়ে তৃণমূলের এত মাথাব্যথা কেন?

মুকুলবাবুর ওই অনুগামীর আরও বক্তব্য, মুকুল রায় দল ছাড়ার সময় তৃণমূল বলেছিল – মুকুল রায়কে মুকুল রায় করেছে তৃণমূল! কাঁচরাপাড়ার অখ্যাত গলি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ভারতের রেলমন্ত্রী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখন তৃণমূল নেত্রীর হাত মাথা থেকে উঠে যাওয়ায়, মুকুল রায়কে নাকি খুঁজেও পাওয়া যাবে না। কিন্তু, মুকুল রায় প্রমান করে দিয়েছেন – মমতা ব্যানার্জিকে ছাড়াও তিনি রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘোরাতে পারেন। কিন্তু মুকুল রায়কে ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেস অচল। তাঁকে বঙ্গ রাজনীতির ‘চাণক্য’ এমনি এমনি বলা হয় না।

তিনি আরও জানিয়েছেন, আসলে মুকুল রায় কোনো পদে বা মন্ত্রীত্বে না থেকেও তৃণমূলের পায়ের তলার মাটিটা কেড়ে নিয়েছেন। এরপর শোনা যাচ্ছে তাঁকে কেন্দ্রীয় পূর্ণমন্ত্রী করা হবে। ফলে বিধানসভা নির্বাচনে আর তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে না বুঝতে পেরেই তৃণমূলে মুখপাত্র নোংরা খেলায় নেমেছেন। যদিও এই ধরনের মিথ্যাচারের জন্য কিছুদিন আগেই পাড়ার চায়ের দোকানে জনতা-জনার্দনের চড়-থাপ্পড় খেতে হয়েছে তাকে ! তারপরেও এই ধরনের মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছেন অক্লেশে! আসলে যুক্তিহীন মানুষ যুক্তিহীন হয়ে পড়লে তখনই তাঁকে এইভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়।আর যে দাবি করে , মৃতদেহ থেকে করোনা ছড়ায় না, শুধু জীবন্ত মানুষ থেকে করোনা ছড়ায় তার কথার কোনো গুরুত্ব আছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!