এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭ মাস আগে তৈরী শ্মশান ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে! তৃণমূলের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন!

১৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৭ মাস আগে তৈরী শ্মশান ভেঙে পড়ল হুড়মুড়িয়ে! তৃণমূলের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বিরোধ লেগেই আছে প্রায়। যেকোনো পরিস্থিতিতে একে অপরকে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না কেউই। বস্তুত সামনে বিধানসভা ভোট থাকায় সেই লড়াই আরো জোরদার হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। বিজেপির তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যেমন একাধিক কটাক্ষ বাণে বিদ্ধ করেন পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলকে, তেমনি অন্যদিকে তথাগত রায়কে সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করতে। সে সময় সেটা তাঁর স্বভাব বিরুদ্ধ বলেও অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তবে কম যান না অভিনেত্রী সাংসদ নুসরত জাহানও। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের হয়ে এই সাংসদ একাধিকবার বিজেপির বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। সেটা বেকারত্ব নিয়েই হোক বা করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনৈতিক সংকট নিয়েই হোক। তবে এবার তৃণমূলের উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী শিবিরগুলি।

বস্তুত কয়েক মাস আগে সাঁকরাইলের সারেঙ্গা পঞ্চায়েতের হিরাপুর ফেরিঘাট সংলগ্ন এলাকায় কংক্রিটের শ্মশান তৈরি করেছিল সরকার। তবে রবিবার সকালে সেই শ্মশান ভেঙে পড়ার খবর জানা যায়। হঠাৎ করে লোকজন দেখেন যে সবে মাত্র সাত মাস আগে তৈরি হওয়ায় শ্মশান, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ছে গঙ্গায়। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। পরে প্রশাসনের কর্তাদের ওপর চড়াও হন এলাকার বাসিন্দারা এবং বিরোধীদের মধ্যে থেকে প্রশ্ন ওঠে তৃণমূলের উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম নিয়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, এক আধিকারিকের কথায় জানা গেছে, শ্মশানটি মজবুত করেই বানানো হয়েছিল। বানানোর দিক থেকে কোনো খামতি না থাকলেও সম্ভবত ভরা কটালে নদীতে জলের চাপ ছিল। যার ফলে কনস্ট্রাকশনের নীচের দিকে মাটি ক্ষয়ে গিয়েছিল। নদীর পাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছিল। জানা যায়, এলাকাবাসীদের দাবি মেনেই শ্মশানটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে মাটি ক্ষয়ের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, তৈরির সাত মাসের মধ্যেই শ্মশান ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীদের সঙ্গে বিজেপি নেতারাও শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মতে, তৃণমূল নেতারা কাটমানি খাওয়ায় নিম্নমানের ইমারতি দ্রব্য ব্যবহার করেই তৈরি হয়েছিল শ্মশানটি। তাই ভেঙে গিয়েছে সেটি। তবে এখনও পর্যন্ত শাসকদলের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে বলেই জানা যায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৈতরণী’ প্রকল্পে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করে পূর্ত দফতর শ্মশানটি তৈরি করেছিল। সাড়ে ৩০০ বর্গফুট এলাকার উপরে তৈরি এই শ্মশানের মূল কাঠামোটি ছিল, নদীবাঁধ সংলগ্ন এলাকায়। এছাড়া সেখানে গার্ডওয়াল নির্মাণের পরিকল্পনাও করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু তার আগেই শ্মশানটিকে এদিন ভেঙে পড়তে দেখা যায়। তবে এ দিন ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে সেচ দফতর, পূর্ত দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের কর্তারা গেছেন বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!