এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “তৃণমূল” বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরাই! ভোটের মুখে বড় বিপদে শাসক দল!

“তৃণমূল” বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন কর্মীরাই! ভোটের মুখে বড় বিপদে শাসক দল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- লোকসভা ভোটের মুখে বিভিন্ন রঙ্গচিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলার রাজনীতিতে। তৃণমূল কংগ্রেসের যা পরিস্থিতি, তাতে তারা মুখে যাই বলুক না কেন, এবার তারা যদি এক এক অংকের সংখ্যার আসনও পায়, তাহলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ তারা গোটা বাংলাতে যে পরিমাণ দুর্নীতি, যে পরিমাণ অত্যাচার করেছে, তাতে মানুষ তাদের প্রতি বিরক্ত। তবে শুধু মানুষ নয়, তৃণমূলের যারা কর্মী রয়েছেন, তারাও কি এবার দলের কর্মী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন? ভোটারদের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করছেন; যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় বড় গলায় দাবি করছেন যে, এবার তৃণমূল প্রচুর আসনে জয়লাভ করবে, তখন কর্মীদের মধ্যে এই কুণ্ঠাবোধ কেন? কেন এই কথা বলা হচ্ছে? এই কথা বলা হচ্ছে তার কারণ, একটি কর্মী সভায় গিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী একটি ভয়ংকর কথা বলেছেন। আর তার সেই বক্তব্য নিয়েই তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মী সভায় গিয়ে নারায়ণ গোস্বামী বলেন, “তৃণমূল কর্মীরা হচ্ছে ফেরিওয়ালার মত। বাদাম বিক্রি করে। কিন্তু সঠিক জায়গায় পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। অনেক জায়গাতেই তৃণমূল কর্মী বলে পরিচয় দিতে লজ্জা পায়।” অনেকে বলছেন, দলের গোপন অসুখটা ধরে ফেলেছেন নারায়ণবাবু। আসলে তৃণমূল যে পরিমাণ চুরি করেছে, যেভাবে তারা মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাতে যাদের মেরুদন্ড আছে, তারা এই দলে হয়ত ভয়ের জন্য আছেন, পুলিশের চোখ রাঙানির জন্য আছেন। কিন্তু দিনের শেষে তারাও জানেন যে, তাদের দল কতটা বিপদ ডেকে আনছে এই পশ্চিমবঙ্গের। সেই কারণে অনেক জায়গাতেই তৃণমূল বলে গলা উচিয়ে বিরোধীদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলা কর্মীদের সংখ্যা শাসক দলের মধ্যে কমে আসছে। আর সেটা ধরতে পেরেই নারায়ণ গোস্বামী ভবিষ্যতে যে আরও বড় বাঁশ আসতে চলেছে তৃণমূলের কাছে, সেই রকমই একটা ইঙ্গিত নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই দাবি করছেন একাংশ। ‌

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের অনেক কর্মীদেরই অভিযোগ যে, দলে তারা সঠিক সম্মান পান না। দল যখন বিপদে পড়ে, তখন তাদেরকে সামনে সারিতে আনা হয়। তাই এই ধরনের কর্মীদের অভাব, অভিযোগ না শুনে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যতই মঞ্চ থেকে বড় বড় কথা বলুন না কেন, তাদের পাশে কেউ থাকবেন না। নারায়ণবাবু কি ভেবেছেন? কর্মীদের এইভাবে বলে তিনি উজ্জীবিত করার চেষ্টা করবেন! কিন্তু কর্মীরা তার বক্তব্য শুনবে, দিনের শেষে বাড়ি ফিরে যাবে, আর মনে মনে বলবে যে, আপনারা ভোট নেবেন, আমাদের খাটিয়ে নেবেন সারাটা বছর ধরে, আর তারপর ক্ষমতা উপভোগ করবেন, আর কর্মীদের দিকে ফিরেও তাকাবেন না, সেই দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এই ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কর্মীদের সিমপ্যাথি জাগানোর চেষ্টা করলেও নারায়নবাবুর এই ফর্মুলা কিন্তু কাজে দেবে না। বরঞ্চ তার এই বক্তব্য একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিল যে, তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তাদের কর্মীরাই। আজকে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পাচ্ছেন। কারণ এই দল যে কাণ্ডকারখানা করে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের, তাতে মানুষ হিসেবে যত বড়ই তৃণমূল কর্মী হোক না কেন, তাদের বিবেকেও একটা আঘাত লাগছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!