এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ত্রিপুরায় কি এবার বিজেপিকে হারাতে কাছাকাছি আসছে দুই বিরোধী বাম এবং তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা

ত্রিপুরায় কি এবার বিজেপিকে হারাতে কাছাকাছি আসছে দুই বিরোধী বাম এবং তৃণমূল? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পতন করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই সমস্ত বিরোধী শক্তিকে একজোট হবার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যদিকে এ রাজ্যে মমতা বিরোধিতা করা যে তাঁদের অন্যতম ভুল ছিল সে কথা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছে বামেরা। আর এবার ত্রিপুরাতেও বাম এবং তৃণমূল কাছাকাছি আসার একটি গুঞ্জন তীব্র হয়ে উঠেছে। কার্যত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে সরিয়ে দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। এবং মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিপ্লব দেব। অন্যদিকে সংগঠন বাড়ানোর দিকে নজর দিতে গিয়ে তৃণমূল প্রথম নজর দিয়েছে ত্রিপুরার উপর। বিগত কয়েক দিন ত্রিপুরা নিয়ে ব্যাপক সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

ইতিমধ্যেই একের পর এক তৃণমূল নেতা নেত্রী যাতায়াত শুরু করেছেন ত্রিপুরায়। প্রসঙ্গত, যেখান থেকে ত্রিপুরায় বাম এবং তৃণমূলের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছে সেটি হল গতকাল প্রাক্তন বাম মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিরোধী দলের নেতা মানিক সরকার জানিয়েছিলেন, বর্তমানে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সঙ্গে জোটের কোনো সম্ভাবনা নেই বামেদের। তবে ভবিষ্যতে যে এরকম সম্ভাবনা তৈরি হবেনা, সেরকম কোনো নিশ্চয়তা তিনি দেননি। আর এখান থেকেই শুরু হয়েছে তীব্র জল্পনা। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এদিন ত্রিপুরায় এসেছেন তৃণমূল রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এবং ত্রিপুরা এসে বাম নেতাদের সঙ্গে তিনি পুরনো সম্পর্কের কথা ঝালিয়ে নিয়েছেন।

কার্যত তিনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীর প্রসঙ্গ তোলেন। ডাক্তার দেখানোর সুবাদে নৃপেন চক্রবর্তী যে কুণাল ঘোষের বাড়িতে বহুবার গিয়েছেন, সে কথা উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তীকে বিতর্কিত সাক্ষাৎকারের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করার কথাও উল্লেখ করেছেন কুণাল ঘোষ। তবে মত পার্থক্য থাকলেও তিনি যে ত্রিপুরার বাম নেতা মাণিক সরকারকে শ্রদ্ধা করেন সে কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি ব্রাত্য বসু, মলয় ঘটক সহ একাধিক তৃণমূলে নেতা-নেত্রী ত্রিপুরা এসেছিলেন। সেসময় ব্রাত্য বসু বলে গিয়েছেন, বাংলায় যে ভুল বামেরা করেছেন, তা যেন ত্রিপুরায় না করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঠিক এই সুরে কুনাল ঘোষ আজকে বক্তব্য পেশ করেছেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে কুণাল ঘোষ আজকে জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসেবে তিনি ত্রিপুরা যাচ্ছেন। এর আগে বহুবার তিনি ত্রিপুরা গিয়েছেন। কার্যত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে তিনি স্বীকৃতি দিয়ে বলেছেন, দেড় বছর পর ত্রিপুরায় উন্নয়ন হবে তৃণমূল সরকারের হাত ধরে। এদিন কুনাল জানিয়েছেন, ত্রিপুরায় উন্নয়নের সুযোগ থাকলেও তা কোনোভাবেই কাজে লাগায়নি বামফ্রন্ট এবং বিজেপি জোট সরকার। আর ঠিক এই জায়গায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে তিনি বার্তা দিয়েছেন, আগামী দিনে যদি তৃণমূল জেতে, তাহলে ত্রিপুরায় সরকার তৈরি করে বাংলার উন্নয়ন মডেল অনুসারে ত্রিপুরাতেও উন্নয়ন নিশ্চিত হবে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা যাওয়ার পর তাঁকে ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে। এমনকি তাঁর গাড়িতে হামলাও হয়েছে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ পরে তিনি আবার ত্রিপুরা যাবেন। কার্যত্ত তিনি যে ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তা নিয়ে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন আগামী দিনে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। আর সেখানে দাঁড়িয়ে দেখার, বিজেপিকে সরানোর জন্য ত্রিপুরায় কি এবার বাম এবং তৃণমূল হাত ধরাধরি করে ভোটের ময়দানে নামে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!