এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাংলার জনসংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে? মুখ্যমন্ত্রীর কথা তুলে তীব্র ট্রোল করা শুরু বিরোধীদের

বাংলার জনসংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে? মুখ্যমন্ত্রীর কথা তুলে তীব্র ট্রোল করা শুরু বিরোধীদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুজো আসব আসব করলেও সামনে আসছে ভোট! আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা অনেক অযাচিত শব্দই বিরোধীরা এখন নিজেদের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন। নিজেদের প্রচারে সেই কথার মধ্যে থেকে কিছু কিছু কথায় হাসির রোল না উঠলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন অযাচিত আচরণে বিরোধীরা যে সুযোগ ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন, সেটা বলাই বাহুল্য। তাই একুশের ভোটে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিতে এবং বিরোধীদলের অক্ষমতাকে বোঝাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাগুলোই হাতিয়ার করে তুলেছেন তাঁরা।

কিছুদিন আগে যেখানে তথাগত রায়কে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এহেন অযাচিত শব্দ প্রয়োগের জন্য কটাক্ষ করে বলতে শোনা গিয়েছিল যে মমতা ব্যানার্জি মুখ খুললেই শাসকদলের ৫০ হাজার ভোট এমনি কমে যাবে, সেখানে এবার আবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও এক কথায় বিরোধীদলের মধ্যে হাসির উঠতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক চলাকালীন নানা কথা উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে। আর সেখানেই এক বেফাঁস মন্তব্য করায় তাঁকে নিয়ে ট্রোল শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতিতে রাস্তায় নেমে কাজ করার জন্য সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ১ হাজার টাকা বেতন বাড়ান হবে। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে পুজো কমিটি গুলোকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে পুজোয় সাহায্য করার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। করোনা পরিস্থিতিতে এবার কি চাঁদা তোলা সম্ভব হবে না হবে, সেই কথা মাথায় রেখে বাংলার সব থেকে বড় পুজোর আয়োজনে যাতে ঘাটতি না থাকে, সেই জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি।

সেই সঙ্গে, পুজোর মাসে প্রায় ৮১ হাজার হকারকে পুজো উপলক্ষে ২ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার ঘোষণাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। লকডাউনে তাদের ব্যবসা বন্ধ থাকায়, তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই টাকা দিয়ে এবছর পুজোয় নিজেদের সন্তানদের অন্তত একটা করে নতুন জামা কিনে দিতে পারবেন হকাররা। তবে ভাবছেন তো, যে এখনও তো ঠিকই ছিল, তবে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ট্রোল করার কি হল। শুনুন তবে! এতক্ষণ সব ঠিক থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী বেতন বৃদ্ধি করেন রাজ্যের আশা কর্মীদেরও।

আর সেই আশা কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, বাংলার প্রায় ৩৬ কোটি বাড়িতে গিয়ে আশা ওয়ার্কারা করোনা পরিস্থিতিতেও নিজেদের প্রাণের তোয়াক্কা না করেই, সার্ভে করে এসেছে। তাই উপায় না থাকলেও একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি তাদের দিকে। অক্টোবর থেকেই তাদের বেতন ১ হাজার টাকা করে বাড়িয়ে দেওয়া হবে। ব্যাস, এখানেই বাঁধে গোল। বিরোধীদের কথায়, পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা যেখানে ১০ কোটি, সেখানে আশা ওয়ার্কারা বাংলার ৩৬ কোটি বাড়িতে গেলেন কিভাবে? আর যদি প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩ জন করেও লোক থাকেন ধরে নেওয়া হয়, তাহলে কি বাংলার জনসংখ্যা ১০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে? আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে ঘিরে হাসির রোল উঠেছে স্যোশাল মিডিয়ায়। তবে যদিও শাসকদলের তরফ থেকে এ নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি, তবুও আপাতত বিরোধীদের কাছে এই বিষয়টি যে অনেকদিন নজরে থাকবে সেটা বলাই বাহুল্য

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!