‘উন্নয়ন রোখার চেষ্টার হলেই দেওয়া হবে পাচন দাওয়াই।” ফের বিরোধীদের তোপ দেগে বললেন অনুব্রত রাজ্য December 18, 2018 বিজেপির বিরুদ্ধে ফের আক্রমণাত্মক ভূমিকায় দেখা গেল তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে। ‘উন্নয়ন রোখার চেষ্টা হলেই দেওয়া হবে পাচন দাওয়াই’- এমনটাই রাজনগরের রাজাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপশালী নেতা। প্রসঙ্গে এটাও দাবীতে জানান যে,রাজ্যের ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন,গোটা দেশে তেমন কেউ করতে পারেননি। কেন্দ্র সরকারের অসহযোগী আচরণকে উপেক্ষা করে আর্থিক অনটন থাকা সত্ত্বেও বাংলার উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন জননেত্রী। এমনটাই বক্তব্যে জানালেন অনুব্রত বাবু। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন,রাজ্যের উন্নয়নকে স্তব্ধ নষ্ট করার জন্যে বাংলার ১৯ টি কেন্দ্রীয় প্রকল্প বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়,বাংলায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে লাগাতার বিভেদের রাজনীতিকে উস্কে দিচ্ছে বিজেপি,এমনটাই অভিযোগ জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত,এদিন রাজনগরে ইমামবাড়া মাঠে তৃণমূলের ব্রিগেড জনসভার প্রস্তুতি চলছিল এদিন। তথাকথিত রাজশাসন না থাকলেও বংশপরম্পরায় রাজা আছেন এখানে। এলাকায় নব্বই বছর বয়স্ক রফিকুল আলমই এখানের রাজাসাহেব নামে পরিচিত। বৃষ্টির খারাপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেও ছাতা মাথায় দিয়ে শেষ মুহূর্তে এদিন সভায় আসতে দেখা যায় রফিকুল আলমকে। এলাকার সাহাবাদ মাদ্রাসার টিনের ছাদ সরিয়ে পাকা ঢালি বাড়ি করে দেওয়ার আবেদনও করেন তিনি অনুব্রত বাবুর কাছে। এলাকার উন্নয়নসংক্রান্ত দাবীদাওয়াগুলো চিঠিতে লিখে সেটা খামে ভরে মঞ্চে অনুব্রত বাবুর কাছে পৌছে দেন রফিকুল আলম। এরপর উন্নয়ন প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়েই বিরোধীদের চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন অনুব্রত মন্ডল। বলেন,এলাকার উন্নয়নে বাধা দিলে এলেন বিরোধীদের পাচনের বাড়ি দেওয়ার নিদান দেন তিনি। সঙ্গে রাজা সাহেবের ইচ্ছানুযায়ী মাদ্রাসার মাথায় পাকা ছাদ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এছাড়াও এলাকায় দুটো রাস্তা এবং ১০ টি সৌরচালিত পাম্পসেট করে দেওয়া জন্যে জেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যসরকারের উন্নয়নের সূত্রে এলাকায় গত সাত বছরে কী কী পরিবর্তন হয়েছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন এদিন মঞ্চ থেকে। উল্লেখ্য,এদিন খয়রাশোল ব্লক এবং মহম্মদবাজার ব্লকে বেশ কিছু সাংগঠনিক পরিবর্তন আনা হল। ন’জনের কমিটিতে আরো দুজনকে যুক্ত করা হল। সভাধিপতি হিসাবে বিকাশ রায় চৌধুরী এবং কমিটির চেয়ারম্যান এবং আহ্বায়ক হিসাবে স্থানীয় বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়িকে দলে আনা হল। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে এছাড়া,মহম্মদবাজার ব্লকের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে কালীপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায়কে নিযুক্ত করা হল। পাশাপাশি ১২ টি অঞ্চলের সভাপতি হিসাবে দায়িত্বে আনা হল তপন সিনহাকে। এই সাংগঠনিক রদবদল শুধুমাত্র লোকসভা ভোটকে টার্গেট করেই দলীয় নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতেই করা হয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -