প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রবীন্দ্রনাথের সাধের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্বভারতীকে কেন্দ্র করে এখন তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বিশ্বভারতী চত্বরে প্রাচীর দেওয়া নিয়ে এমনিতেই কর্তৃপক্ষ তথা উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী থেকে শুরু করে তৃণমূলের একাংশ। সেই প্রাচীর ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা আরও বেড়েছে। একাংশ বলছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্ত শিক্ষাঙ্গন চেয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই প্রাচীর দিয়ে ভুল করেছে।

যদিও বা এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে সম্প্রতি একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজে বহিরাগত ছিলেন। তিনি যদি এই অঞ্চল পছন্দ না করতেন, তাহলে বিশ্বভারতী এখানে বিকাশিত হত না।” আর উপাচার্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “বহিরাগত” বলায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সমাজের বিশিষ্টজনেরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

আর এবার বিশ্বভারতী উপাচার্যের এই মন্তব্যের জন্য তাকে “অসুস্থ এবং পাগল” বলে কটাক্ষ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সূত্রের খবর, এদিন অনুব্রতবাবু বলেন, “এই কথা পশ্চিমবাংলা, ভারত তথা বিদেশের মানুষ কিভাবে নেবে, তাই ভাবছি। এই ধরনের কথা কোনো সুস্থ মানুষ বলতে পারে না। একমাত্র অসুস্থ এবং পাগলরাই একথা বলে। এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, তার উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা নেই।”

আর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে “বহিরাগত” বলে বিশ্বভারতীর উপাচার্য মন্তব্য করার পর যেভাবে তাকে “পাগল এবং অসুস্থ” বলে পাল্টা কটাক্ষ করলেন অনুব্রত মণ্ডল, তাতে নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই বিশ্বভারতীকে নিয়ে চরম সমস্যা চলছে। আর তার মধ্যে যদি এইভাবে তরজা চলতে থাকে, তাহলে সেই সমস্যা আরও সংকটজনক আকার ধারণ করবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।