প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অমিত শাহের বছরের মাঝেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হানা দিতে দেখা গিয়েছিল ইডির কর্মকর্তাদের। এমন পরিস্থিতিতে শাসকদল বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও পরবর্তীকালে জানা গিয়েছিল সেই সূত্র ধরেই নাকি গরু পাচারের কিংপিন এনামুলকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছিল ইডি। তবে এরপর আবারো একাধিক গুরুতর অভিযোগের তদন্ত নিয়ে মাঠে নামতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

জানা গেছে, এটা নিয়ে গতকাল দিল্লির ইডি সদরদপ্তরে বৈঠক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে কয়লা পাচার থেকে শুরু করে চিটফাণ্ড কাণ্ড, মেট্রো ডেয়ারি শেয়ার হস্তান্তর এমন বহু বিষয় নিয়ে ইডি এরপর তদন্ত করতে শুরু করবে জানা গেছে। কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ইডি আইটির কাছ থেকে নথি সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। যা থেকে দেশের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টাকা দুবাই, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড-সহ একাধিক দেশে রয়েছে বলে জানা গেছে।

ভুয়ো কোম্পানির মাধ্যমে কাগজে লেনদেন দেখিয়ে এই টাকা বিদেশে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইডি কর্তারা। এরপর হাওলা করে সেই টাকা চলে এসেছে প্রভাবশালী ব্যক্তি বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছে। যান গেছে, এভাবে হাওলার প্রসঙ্গ উঠে আসায়, ইডি মানি লন্ডারিং অ্যাক্টে মামলা রুজু করে তল্লাসি চালাতে চায়। আর তাই সেই তল্লাশি কোন নথির ভিত্তিতে তার গাইডলাইন দিল্লির আধিকারিকরা দিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তর নিয়েও ইডি অনেকদিন ধরে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। জানা গেছে, এই সংস্থার শেয়ার বাজার চলতি দামের চেয়ে অনেক কম দামেই বিক্রি করা হয়েছে। যা নিয়ে তদন্তে এখনও বিশেষ অগ্রগতি হয়নি বলেই জেনেছেন দিল্লির কর্তারা। আর তাই এদিনের বৈঠকে এই বিষয়টিই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বলে জানা গেছে।

ইডি কর্মকর্তাদের এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে বলেছে বলে জানা গেছে। সেই তদন্তে অনেক ফাঁক রয়েছে বলেই দেখেছেন তাঁরা। সেইসঙ্গে এখনো অনেক নথি সংগ্রহ করা বাকি আছে। তবে এখনও কেন তা করা হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন করতে দেখা গেছে কর্মকর্তাদের। যা নিয়ে তাঁরা রীতিমত অসন্তুষ্ট হয়েছে বলেই জানা যায়।

আর তাই এই সংক্রান্ত প্রমাণ তাদের তাড়াতাড়ি জোগাড় করতে বলা হয়েছে। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রভাবশালী ঘনিষ্ঠ এক ব্যাবসায়ীকে এই সংস্থার শেয়ার বিক্রি করা হয়। সেইসঙ্গে টেন্ডার প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে আরও অনেক জায়গায় গলদ আছে। তবে সেইসঙ্গে এটি ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা নাকি ভুলক্রমে হয়েছে সেটি তাঁরা দেখছেন বলে জানা গেছে।

তদন্তের ক্ষেত্রে একাধিক টিম তৈরি করে প্রত্যেককে আলাদা আলাদা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে প্রতিটি টিমকে আলাদা আলাদাভাবে দিল্লিতে রিপোর্ট করতে, যাতে কেউ কারও তথ্য জানতে না পারে। এরপর সেই তথ্যের কম্পাইলেশনের কাজ হবে। তারপর নির্দেশ অনুযায়ী কর্তারা রাজ্যে তল্লাশি চালাবেন বলে জানা গেছে। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির জমা দেওয়া আয়কর রিটার্নের নথিও ইডি আধিকারিকরা যাচাই করছেন।

আর এক্ষেত্রে যাচাই করতে গিয়ে কারও সম্পদের যদি বৃদ্ধি ঘটে থাকে তাহলে সেই টাকা কোথা থেকে এল, তার ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীদের কাছ থেকে চাওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, চিটফান্ড মামলাতে প্রভাবশালীরা কী কী সুবিধা পেয়েছিলেন, তাই নিয়েও নথি খতিয়ে দেখা হয় বলে জানা গেছে। যাতে দ্রুত চিটফান্ড মামলার চার্জশিট দেওয়া যায় সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রভাবশালী যোগের তথ্য খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।