এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের

ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ রাজ্যের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সেই রিপোর্টে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করা হয়েছে। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার লাইন তুলে ধরে রাজ্যকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে রিপোর্টে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, এই মামলার শুনানি রাজ্যের বাইরে করা প্রয়োজন। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আইনের শাসন নেই, শাসকের আইন চলছে। পুলিশের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ করা হয়েছে। এরপর, আজ এ বিষয়ে আদালতে হলফনামা পেশ করেছে রাজ্য। রাজ্যের পেশ করা এই হলফনামায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ আনা হলো।

হলফনামায় রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলার বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের ঘনিষ্ঠ সদস্যদের ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। সেই যোগসাজশ ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট পক্ষপাত দুষ্ট রিপোর্ট বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজীব জৈন, আতিফ রশিদ, রজুলবেন এল দেসাই এরা ঘোষিত ভাবেই বিজেপির সদস্য।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের দাবি, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই রাজ্যের প্রশাসন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের করারও দরকার হয়নি। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পুলিশ তার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু তা সত্বেও কমিশনের রিপোর্ট যা তুলে ধরেছে, তাতে রাজ্যের পুলিশ ও রাজ্যের আমলাদের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যের হলফনামায় প্রশ্ন করা হয়েছে যে, ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্টে মানবাধিকার কমিশন কোন অধিকারে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে? সিট গঠন করে তদন্তের সুপারিশ বা রাজ্যের বাইরে তদন্তের দাবি কেন করেছে মানবাধিকার কমিশন?

রাজ্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট একতরফা, অতিরঞ্জিত, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রিপোর্ট দেখে মনে করা হচ্ছে যে, এর পেছনে কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত ভাবেই নেতিবাচক রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের অসংখ্য পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনের সদস্যদের সম্মানহানি করা হয়েছে এই রিপোর্টে। রাজ্যের অভিযোগ, সম্পূর্ণ এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!