প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনায় সরব হতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিভিন্ন জায়গায় তাদের নেতা কর্মীদের আক্রান্ত করা থেকে শুরু করে তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে দেখা দিয়েছে বিরোধী দল বিজেপিকে। যা নিয়ে আদালতেও বিভিন্ন সময় হোঁচট খেতে হয়েছে রাজ্য প্রশাসনকে। আর এবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর বেলেঘাটায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ নিয়ে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে নিহত বিজেপি কর্মীর ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল আদালতের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতা হাইকোর্টে পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়। যেখানে আদালতের বৃহত্তর বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেলেঘাটায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করাতে হবে। আর তারপরেই সেই ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে। একাংশের দাবি, বেশ কিছুদিন ধরেই নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, তাদের কর্মী অভিজিৎ সরকার দেহকে সরিয়ে দিয়ে অন্য দেহ নিয়ে আসা হয়েছে। আর এরপরেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সৎকার না করা সেই নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ডিএনএ পরীক্ষা করিয়ে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, গত মে মাসের 2 তারিখে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছিল। আর সেদিনই কলকাতার বেলেঘাটায় খুন হতে হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে। আর তারপর থেকেই বিভিন্ন জেলাজুড়ে একের পর এক বিজেপি নেতা, কর্মীদের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসতে শুরু করে। যার ফলে সরব হতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি। প্রতিহিংসা- পরায়ণ হয়ে রাজ্যের শাসক দল ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই বিজেপির নেতা কর্মীদের ওপর হামলা করছে বলে অভিযোগ তুলতে শুরু করে গেরুয়া শিবির।

আর এই পরিস্থিতিতে সম্প্রতি ভোটের ফলাফল প্রকাশের দিন নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহ নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। আর এবার তার পরিপ্রেক্ষিতেই বড় নির্দেশ দিতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টকে। স্বাভাবিকভাবেই এক সপ্তাহের মধ্যে সেই নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ডিএনএ রিপোর্ট জমা পড়ার পর কি তথ্য সামনে আসে এবং তার ফলে কি নির্দেশ দেয় আদালত, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।