ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আজ হয়ে গেল শুনানি, হাইকোর্টের তরফ থেকে হলফনামা পেশের নির্দেশ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য July 22, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ হাইকোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার শুনানি হয়ে গেল। সাম্প্রতিককালে রাজ্য সরকারকে তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছিল রাজ্যের উচ্চ আদালতে। কার্যত মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট সামনে এলে তীব্র সমালোচনা করে রাজ্য সরকার। তবে মানবাধিকার কমিশনের আগেও রাজ্য সরকারকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করে হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন যাবৎ গেরুয়া শিবির ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরব হয়েছিল। একই সাথে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকেও সরব হতে দেখা যায়। প্রশ্ন উঠেছিল, রাজ্য প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে। এই অবস্থায় রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে তদন্ত চালায় মানবাধিকার কমিশন আদালতের নির্দেশে। আর তারপরেই তাঁরা বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দেয়। কার্যত মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেয়। সেই মামলার শুনানি আজকে ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন। কার্যত গেরুয়া শিবিরের অঙ্গুলিহেলনে মানবাধিকার কমিশন রিপোর্ট তৈরি করেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। আজকে প্রায় একই কথা শোনা গেল আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভির গলায়। আজকে শুনানিতে অভিষেক মনু সিংভি জানিয়েছেন, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট তৈরি করেছে, তাতে বহু অসঙ্গতি রয়েছে। প্রসঙ্গত অভিষেক মনু সিংভি জানান, যে যে ঘটনার কথা উল্লেখ করে ভোট-পরবর্তী হিংসার কথা বলা হয়েছে তার বেশির ভাগই ভোটের আগের। সেসময় রাজ্যের আইন শৃংখলার ভার ছিল নির্বাচন কমিশনের ওপর। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ভোট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত যে অভিযোগ এসেছে, তার অনেকগুলিতেই পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অন্যদিকে আজকের শুনানির পর রাজ্যকে 26 শে জুলাই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাল্টা হলফনামা আঠাশে জুলাই এর মধ্যে জমা দিলে তারপরেই চূড়ান্ত শুনানি হবে। প্রসঙ্গত, আজকে বেশ কিছুটা স্বস্তিতে যাদবপুরের আইপিএস আধিকারিক রশিদ মুনির খান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা যখন যাদবপুরের পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে যান তখন হেনস্তার মুখে পড়েন। আর তাই নিয়ে তাঁরা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন। তারই ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের বৃহত্তর বেঞ্চ যাদবপুরের দায়িত্বে থাকা আইপিএস আধিকারিক রশিদ মুনির খানকে শোকজ করেন। এদিন তিনি শোকজের উত্তর দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁর উত্তর পেয়ে বিচারপতিরাও যথেষ্ট সন্তুষ্ট বলে শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধী পক্ষের আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি আজকে আদালতে অভিযোগ করেছেন, যারা মানবাধিকার কমিশনের কাছে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছেন তাঁদেরকে পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। যদিও এ নিয়ে কোন প্রামাণ্য নথি তিনি আদালতে দেননি বলেই জানা গিয়েছে। তবে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বরাবরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পুলিশি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। এমনকি সিট তৈরি করে তদন্ত চলছে বলেও জানা গেছে। আপাতত 26 তারিখে রাজ্য সরকারের যাবতীয় বক্তব্য হলফনামা আকারে পেশ করার পর হাইকোর্ট এবার চূড়ান্ত শুনানি কোন পরিপ্রেক্ষিতে দেয় সেটাই দেখার। তবে রাজ্য সরকারের কাছে ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা সংক্রান্ত অস্বস্তি যে এখনও কাঁটার মত জিইয়ে রইল তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপনার মতামত জানান -