এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ, মমতার গঠিত “সিট”এর প্রশ্নে জর্জরিত কলকাতা পৌরসভা!

ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে বড় পদক্ষেপ, মমতার গঠিত “সিট”এর প্রশ্নে জর্জরিত কলকাতা পৌরসভা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে শাসকদলের একগুচ্ছ নেতা-মন্ত্রীদের ছবি রয়েছে বলে সরব হতে শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়কে সামনে রেখে জেলায় জেলায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। যার জেরে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার।

তবে এবার আর বিরোধীদের পক্ষ থেকে চাপ নয়, বরঞ্চ এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত সিটের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করা হল কলকাতা পৌরসভাকে। স্বাভাবিকভাবেই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কলকাতা পৌরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করেছিলেন একাংশ। আর এবার সরাসরি সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত “সিট” যেভাবে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে ধরে কলকাতা পৌরসভার কাছে গোটা বিষয়টি জানতে চাইল, তাতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, সিটের তদন্তকারী গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরসভার কাছে বেশ কিছু প্রশ্ন জমা দিয়েছে। যেখানে বেশ কিছু বিষয় উল্লেখযোগ্য ভাবে উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, প্রশ্নমালার মধ্যে রয়েছে, ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের মূল পান্ডা দেবাঞ্জন দেবের এত বাড়াবাড়ির পেছনে কারা রয়েছে? এক্ষেত্রে পৌরসভার যুগ্ম-কমিশনার পদমর্যাদার কোনো পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই বিষয়ে কলকাতা পৌরসভার কাছে জানতে চেয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গঠিত সিটের তদন্তকারী অফিসাররা।

এছাড়াও কসবাতে ধৃত ব্যক্তির যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেখানে কলকাতা পৌরসভার কোনো স্পোর্টস ফেডারেশনের অফিস রয়েছে কিনা, সেই ব্যাপারেও প্রশ্ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, লেজার হলোগ্রাম প্রাইভেট লিমিটেড নামে কোনো সংস্থাকে পৌরসভার পক্ষ থেকে হলোগ্রাম তৈরি করার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নও কলকাতা পৌরসভার কাছে জমা দিয়েছে সিট। স্বাভাবিক ভাবেই এই রকমই বেশ কিছু প্রশ্ন সরাসরি কলকাতা পৌরসভার কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গঠিত তদন্তকারীদের পক্ষ থেকে করার কারণে নয়া মাত্রা নিয়েছে ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে কটাক্ষ করে বলছেন, এই ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনায় এমনিতেই যথেষ্ট চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। পরবর্তীতে গোটা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গঠিত করা হয়েছিল তদন্ত কমিটি। যারা নিজেদের মত করে প্রস্তুতি নিয়ে এবার কলকাতা পৌরসভার ওপর চাপ বাড়িয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করতে শুরু করল। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমানে কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ফিরহাদ হাকিম। তাই সেদিক থেকে রাজ্য প্রশাসন তথা মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে গঠিত তদন্তকারীরা কলকাতা পৌরসভাকে প্রশ্ন করে পরোক্ষে তৃণমূলের ওপরেই কি চাপ বাড়ালেন! এখন এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে সিটের এই প্রশ্নের উত্তরে কলকাতা পৌরসভা কি জবাব দেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!