এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ফের গৌতম-অশোক কাজিয়া ,জেনে নিন কারণ

ফের গৌতম-অশোক কাজিয়া ,জেনে নিন কারণ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে করোনা সংক্রমনের কারণে রাজ্যের একাধিক পুরসভার নির্বাচন করানো সম্ভব হয়নি। এই পুরসভা ও কর্পোরেশনগুলিতে বিদায়ী মেয়র বা বিদায়ী চেয়ারম্যানকে প্রশাসক রূপে নিযুক্ত করে তাঁর অধীনে পুরবোর্ড গঠন করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে এই পুরসভাগুলির প্রশাসক বোর্ড থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নির্বাচনের পর আবার পুরনো পদাধিকারীদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে তা হয়নি। কারণ বিধানসভা ভোটে পরাজয়ের পর অশোক ভট্টাচার্য জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি আর প্রশাসক বোর্ডে থাকতে ইচ্ছুক নন। এরপর প্রশাসক বোর্ডের শীর্ষে আনা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবকে।

এবার এ বিষয় নিয়ে ঘোর আপত্তি করেছেন অশোক ভট্টাচার্য। তবে, প্রশ্ন উঠেছে, পুরবোর্ড গঠনের দুসপ্তাহ পরে কেন তিনি এ বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন? এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পুরবোর্ডে তিনি থাকতে চান না, তা তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন। তবে, তিনি ভেবেছিলেন যে, করোনা পরিস্থিতিতে যথোপযুক্ত কাজ করবে পুরসভা। কিন্তু তাঁর সেই ভুল ভেঙে গেছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, প্রশাসক বোর্ডে যারা বসে রয়েছেন, তাঁরা দল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করছেন।

সম্প্রতি শিলিগুড়ি পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র রামভজন মাহাতো আরএসপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। প্রাক্তন মেয়াদ পরিষদের সিপিএম কাউনসিলর কমল আগারওয়াল তৃণমূলে যোগদান করেছেন, আবার, প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর সীমা সাহা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। সিপিএমের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, দলের আরও কিছু প্রাক্তন কাউন্সিলরকে তৃণমূলে যোগদান করাবার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিলিগুড়ির প্রাক্তন বিধায়ক ভট্টাচার্য অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের অন্যান্য স্থানে যে আইন মানা হয়েছে, শিলিগুড়ি কি তার বাইরে পড়ছে? তিনি অভিযোগ করেছেন, পেছনের দরজা দিয়ে পুরসভার দখল নেবার একটা উদ্দেশ্য ছিল তৃণমূলের। সেটাই চরিতার্থ হয়েছে। আগে শিলিগুড়ির প্রশাসক বোর্ডের সদস্য ছিলেন যারা,তাঁরা দীর্ঘদিনের কাউন্সিলর। কিন্তু তাদেরকে নতুন বোর্ডে রাখা হয়নি। যা রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার ক্ষেত্রে করা হয়েছে, তা শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে করা হয়নি।

অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পুরো বোর্ডে তিনি থাকতে চান না। যা তিনি পূর্বেই জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু রাজ্যের অন্যান্য পুরসভা গুলির ক্ষেত্রে যে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে তা হয়নি। যা নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে গৌতম দেব জানিয়েছেন, অশোক ভট্টাচার্যের কথার কোন উত্তর তিনি দিতে চান না। সপ্তাহে সাতদিন তাঁরা কাজ করছেন। রবিবারও কাজ বন্ধ রাখেন নি। তাঁরা মানুষের কাছে দায়বদ্ধ, কোনো ব্যক্তির কাছে নয়।

গৌতম দেব জানালেন, করোনা সংক্রমনের মোকাবেলা করা পুরসভার অগ্রাধিকার। কিন্তু সেইসঙ্গে পুরসভাকে সচল রাখাও প্রয়োজন। ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা ও বর্তমানের কাজের বিষয়ের দিকে নজর দিতে চলেছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, অশোক ভট্টাচার্য যা বলেছেন, তা একেবারেই অনভিপ্রেত। অশোক ভট্টাচার্য একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তাঁর যদি কোন পরামর্শ থাকে, তবে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। তিনি অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন এলেই অশোকবাবু রাজনীতি করেন। শহরের গরিব মানুষদের ভাতা ১৩ মাস ধরে বাকি পড়ে রয়েছে। তার জন্য তহবিল করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের অন্যান্য পুরসভার মত শিলিগুড়িতে পুরনো প্রশাসক বোর্ডকে না এনে প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেবের নেতৃত্বে চারজনের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে গৌতম দেব জানান, যা এখানে করা হয়েছে, তা সরকারি সিদ্ধান্ত মেনে করা হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি কোনো বক্তব্য রাখতে চান না। এ বিষয়ে তিনি কোনো উত্তরও দিতে চান না। তিনি প্রশ্ন করেছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর অশোক ভট্টাচার্য পুরবোর্ডে না থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন। তবে এখন কেন তিনি এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন? এভাবেই দুই যুযুধান পক্ষের হেভিওয়েটের শুরু হলো তীব্র কাজিয়া।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!