“ইয়াস” ত্রানে মাস্টারস্ট্রোক মমতার, পরিষেবা দেওয়া নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য June 2, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক বছর আগে ভয়াবহ আমপান নামক দুর্যোগের সময় মানুষকে পরিষেবা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠেছিল দুর্নীতির অভিযোগ। যার প্রভাব ভোটবাক্সেও পড়েছিল। দিকে দিকে উপকূলবর্তী জেলার মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার বদলে তৃণমূল নেতারা নিজেদের আত্মীয়স্বজন এবং নিকটাত্মীয়কে ক্ষতিপূরণের টাকা পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন একাংশ। শুধু তাই নয়, তৃণমূলের নেতারাও তলায় তলায় এর জন্য আফসোস করতে শুরু করেছিলেন। বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছিল বিরোধীরা। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে “ইয়াস” নামক ভয়াবহ দুর্যোগের পর কোনোভাবেই যাতে ত্রাণ প্রদানের ক্ষেত্রে দুর্নীতি না হয়, তার জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক, সকলকে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এক বছর আগে প্রাণের পর দলের নেতা-কর্মীরা মানুষকে সুবিধা দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকলেও, এবার দলকে সেভাবে এই কাজে যুক্ত করতে চাননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের মধ্যে দিয়েই মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। চালু করেছেন দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প। তবে তা সত্ত্বেও আশঙ্কা কমছে না। বিরোধীদের দাবি, এতকিছুর পরেও এই ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতি বজায় থাকবে রাজ্যে। তবে বিরোধীদের সেই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করল রাজ্য প্রশাসন। দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে এবার আরও কড়া হতে দেখা গেল রাজ্য সরকারকে। অর্থাৎ অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে দুর্নীতি করবার জন্য যাতে কোনো ফাঁক না থাকে, তার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হল পদক্ষেপ। সূত্রের খবর, “দুয়ারে ত্রান” প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিপর্যস্ত মানুষের কাছে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে পৌরসভা এবং পঞ্চায়েত-গুলোর ভূমিকা যে আর থাকবে না, তা সরকারের এই নির্দেশের মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে আমপানের সময় পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে ক্ষতিপূরণ পাঠানোর জেরে নীচুতলার শাসক দলের নেতারা ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। তবে এবার সরাসরি প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের আধিকারিকদের মধ্যে দিয়ে নজরদারি চালিয়ে তা যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। অর্থাৎ কোনোভাবেই যাতে দুর্নীতির কোনো বিষয় মাঝে উঠে না আসে, তার জন্যই রাজ্য সরকারের এই নজরদারি এবং পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। যাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ত্রানের ক্ষেত্রে যাতে কোনো অনিয়ম না হয়, তার জন্য প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে এই ব্যাপারে বেশি নজরদারি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। অর্থাৎ কোনোভাবেই অনিয়ম যে এবার বরদাস্ত করবে না সরকার, তা কার্যত পরিষ্কার। কেননা এক বছর আগে আমপান দুর্যোগের সময় এই দুর্নীতি কাটার জন্য তৃণমূলকে অনেক মাসুল চোকাতে হয়েছিল। আর তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর দুর্যোগ-পরবর্তী সমস্যা মোকাবেলার ক্ষেত্রে যদি সেই একই অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে, তাহলে সামনের দিনে থাকা পৌরসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীরা এই ব্যাপারে আবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করবে। যা ঘাসফুল শিবিরের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তিদায়ক হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই কারণেই এখন থেকে সরাসরি কারও মাধ্যম দিয়ে নয়, আধিকারিকদের মধ্যে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করল রাজ্য সরকার। তবে এত করার নিয়ম এবং বজ্র আঁটুনি থাকা সত্ত্বেও কতটা সুষ্ঠুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -