এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > সুখী যৌনজীবনের অনেকটাই কিন্তু লুকিয়ে থাকে বিছানার বাইরের অজানা সমীকরণে! জানুন সেই গোপন কথা

সুখী যৌনজীবনের অনেকটাই কিন্তু লুকিয়ে থাকে বিছানার বাইরের অজানা সমীকরণে! জানুন সেই গোপন কথা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যুগ পাল্টেছে, সেই সঙ্গে পাল্টেছে মানুষের চাহিদা। সে চাহিদা মানসিক হোক বা শারীরিক, তা যে আপনার জীবনের সঙ্গে জড়িত সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্যদিকে, অনেকেই শারীরিক চাহিদা নিয়ে ভুল ভেবে বসে থাকেন। ফলে নিজে তো খুশি হন না, সঙ্গীকেও খুশি করতে পারেন না। ফলে সমস্যা অশান্তি অবধারিত। তবে চিকিৎসকদের মতে, এর অনেকটাই হয় পুরুষদের অবিবেচক আচরণে। তাই পুরুষরা যদি নিজেদের কিছু স্বভাব পাল্টে ফেলতে পারেন, তবে সঙ্গিনীর কাছে তিনিই হয়ে উঠতে পারেন অনবদ্য।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুস্থ স্বাভাবিক যৌন জীবন স্ট্রেস থেকে শুরু করে অন্য অনেক সমস্যার সহজ সমাধান করে দেয়।

অনেক সেক্স থেরাপিস্টরা মনে করেন যে, বেশিরভাগ পুরুষদের ধারণা সেক্স শুরু হয় বিছানাতে। এক্ষেত্রে গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে সেক্স অনেকটা বৈদ্যুতিক আলোর মতো সুইচ অন-সুইচ অফ হলেও মেয়েদের ক্ষেত্রে কিন্তু ব্যাপারটা অত দ্রুত ঘটে না। তাই পুরুষদের উচিত সারা দিনে সুযোগ পেলেই সঙ্গিনীকে একটু একটু করে সময় দেওয়া। যেমন সুযোগ পেলেই হালকা করে জড়িয়ে ধরা, হাতে হাত রাখা, দু’জনে মিলে মজার-মজার কথা বলা ইত্যাদি। বস্তুত আপনার সঙ্গিনীর প্রতি আপনার অনুরাগ কতটা সেটা জানিয়ে রাখা। চিকিৎসকদের মতে, মেয়েদের ক্ষেত্রে তারা যদি সঙ্গীর সঙ্গ নিরাপদ এবং নিশ্চিন্ত মনে করেন তবেই আপনাদের সেক্স লাইফ সুখের হবে বলেই মনে করা হয়।

একটি সুন্দর উপভোগ্য যৌন জীবন পেতে মনের ভূমিকা কিন্তু কম নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, সেক্স থেরাপিস্টদের কথায়, মেয়েদের মুড নির্ভর করে তাদের ঋতুচক্রের ওপর। তাই সাধারণত আপনার সঙ্গীর শরীরের কোনও বিশেষ অংশ বেশিরভাগ সময় সেনসিটিভ থাকলেও, পরের দিন শরীরের সেই অংশ বাদে অন্য অংশও সেনসিটিভ হয়ে থাকতে পারে। তাই কোন মুহূর্তে তার সঙ্গিনী ঠিক শরীরের কোনও অংশে সাড়া দিচ্ছেন সেই দিকে পুরুষদের নজর রাখা উচিত। তবে এক্ষেত্রে মিলনে আপনার সঙ্গিনী তৃপ্ত হচ্ছেন কিনা সেটা জানা ভীষণ জরুরি। তাই কোনও দ্বিধা না করে সঙ্গিনীকে মিলনের পর তার কী রকম অনুভূতি হল বা তিনি কি আরও অন্য কিছু চাইছেন সেটা জেনে নেওয়া দরকার।

আপনার সঙ্গিনীর মুডকে সম্মান করতে শিখুন। মানসিক মিল না হলে কিন্তু অচিরেই সমস্যা আরও জটিল হবে।

সেই সঙ্গে, সঙ্গিনীর শারীরিক উদ্দীপনার সঙ্গে মিলনের সময় তাঁর মানসিক উদ্দীপনার দিকটা দেখা প্রয়োজন। যৌন বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকনিকের চেয়ে সিডাকশন অনেক বেশি জরুরি। একমাত্র সফল ছলাকলাই আপনার সঙ্গিনীকে অনেকটাই উত্তেজিত করতে পারে বলে জানা যায়। সেইসঙ্গে, শারীরিক মিলনের সময় সঙ্গিনীর সাথে কথা বলাও প্রয়োজন। আপনার কেমন লাগছে বা আপনার সঙ্গিনীর কেমন লাগছে সেটা জানতে চান। অথবা প্রশংসাও করতে পারেন। এছাড়া আপনার সঙ্গিনীর শরীরের অ্যানাটমি জানার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন অনেক চিকিৎসক।

সঙ্গিনীকে খুশি রাখা ও তৃপ্ত করার দায়িত্ব আপনারই। এতে সঙ্গিনীর মন আপনার প্রতি উৎফুল্ল থাকবে, সম্পর্কের জটিল সমীকরণ মিটে যাবে সহজেই।
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!