প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একদিকে যেখানে রাজ্যের মানুষ গরমে হাঁসফাঁস করছে এবং এক পশলা বৃষ্টির জন্য হন্যে হয়ে আছে, সেখানে দেশের অন্য রাজ্যগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে বারবার। বর্ষা চলে গেছে বহুদিন হয়েছে, কিন্তু বৃষ্টি থামার নাম নেই দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। সম্প্রতি তেলেঙ্গানার পর এবার প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে মহারাষ্ট্র নগরীর। যা সামাল দিতে কোমর বেঁধেছে পুলিশ প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই গতকাল থেকে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রে। বিশেষ করে পুনের মত বেশ কিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলেও জানা গেছে। বর্তমানে উদ্ধারকার্যে নামা টিমের তরফ থেকে জানা গেছে যে এখনো পর্যন্ত ৪০ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ ১৫ জনের কোন খবর পাওয়া যায়নি। সেই সঙ্গে মুম্বাইয়ের একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাবার খবর পাওয়া গেছে।

তবে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, এখনই স্বস্তির কোন কারণ নেই। উলটে আজ থেকে আগামী দুদিন মুম্বাইয়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে কঙ্কন এলাকায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। ইতিমধ্যে যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে মুম্বাইতে, তা গত এক দশকের রেকর্ড ভেঙেছে বলেই খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে এই অতিবৃষ্টিতে মুম্বাইয়ের সাধারণ মানুষের জনজীবন যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, সে কথা বলাই বাহুল্য।

বস্তুত করোনা সংক্রমনের শুরু থেকে দেশে করোনা আক্রান্তের হিসাবে মহারাষ্ট্রের স্থান রয়েছে সবার প্রথমে। আর এখন সংক্রমণের ফাঁড়া কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই, মুম্বাইতে এমন অতিবৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছে জনজীবন। তবে শুধুমাত্র পুনে বা মুম্বাইতেই নয় থানেতেও এই দুদিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস জানা গেছে। মঙ্গলবার থেকেই পুনের কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

সেইসঙ্গে জলের তোড়ে দুজন মানুষ ভেসে যাওয়ার খবর পাওয়া যায়। যদিও পরে তাদের উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এরই সঙ্গে মুম্বাইয়ের পালঘরেও অতিবৃষ্টি শুরু হয়েছে বলেও খবর পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে তেলেঙ্গানা সরকার। জনসাধারণের জন্য আলোচনায় বসতে দেক গেছে প্রশাসনিক কর্তাদের।

জেলাশাসক, পুলিশ কমিশনার, সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ এবং বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী সোমেশ কুমার এই কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে যে ভারী বৃষ্টিতে আপাতত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের, যাদের মধ্যে থেকে ১৯ জনই গ্রেটার হায়দ্রাবাদের বলে জানা গেছে।

সেই সঙ্গে অতি বৃষ্টি থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে থানে, রায়গড়, রত্নাগিরি, সিন্ধুদুর্গ, সাঁতারা, সাঙ্গলি, সোলাপুর, পারভানি, হিঙ্গোলি, নানদেদ, লাতুর এবং ওসামাবাদের মত একালায়। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত অঞ্চলে জারিও করা হয়েছে লাল সতর্কতা। সেই সঙ্গে আবহাওয়া দপ্তরের তরফে আজ থেকে আগামী তিন দিনের জন্য মৎসবীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ গুজরাতেও জারি করা হয়েছে সতর্কতা সংকেত।