ফের বেলাগাম অনুব্রত মণ্ডল, দিলীপ ঘোষকে ‘মূর্খ’ বলে তোপ, বিতর্ক শুরু! বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য November 10, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল, যিনি বারবার তাঁর একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উঠে এসেছেন সংবাদপত্রের শিরোনামে। তাঁর মুখে ‘চরাম চরাম’, ‘গুড় বাতাসা’, ‘শুটিয়ে লাল করে দেবো’ একসময় ঝড় তুলেছিল রাজ্য রাজনীতিতে। আবার তিনি বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উঠে এলেন শিরোনামে। গতকাল সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ‘মূর্খ’ বলে মন্তব্য করলেন তিনি। আর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাঁকে বলতে শোনা গেল যে, ট্রাম্পের পর এবারে মোদির বিসর্জনের পালা ।তাঁর এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় তুলে দিল। যা নিয়ে শুরু হল তুমুল বিতর্ক। প্রসঙ্গত, গত রবিবার খড়্গপুরে বিজেপির এক দলীয় সভায় রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রতি একাধিক অভিযোগ করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সেদিন দিলীপ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, তৃণমূল কর্মীদের মেরে শ্মশানে পাঠিয়ে দেবেন তিনি। এবার, তাঁর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডল প্রশ্ন করলেন যে, শ্মশানে পাঠিয়ে দেবেন এ, ধরনের কথা কি কোন দলের সভাপতি বলতে পারে? তাঁর আরও প্রশ্ন, বাংলার মানুষকে অপমান করার কোন অধিকার আছে কি তাঁর? তিনি আরও প্রশ্ন করেন যে, সকলকে যদি শ্মশানে পাঠিয়ে দেন, তাহলে কাকে নিয়ে থাকবেন? রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোপ দাগার পর সুর নরম হলো অনুব্রত মণ্ডলের। তখন তাঁকে বলতে শোনা গেল যে, তাঁরা এসব বলবেন না। তাঁর দাবি, মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী সবাইকে ভালোবাসেন, সবার পাশে থাকেন, উন্নয়নের কাজ করেন, কেউ যদি বিপদে পড়েন তৎক্ষণাৎ ছুটে যান তিনি। এরপর তিনি জানালেন যে, আগামীকাল বিহারের ভোটের ফলাফল দেখেই সকলে বুঝতে পারবেন যে, কে বিসর্জনে যাবেন। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী অনেক মিটিং মিছিল করেছেন। তিনি একসময় ‘নমস্তে ট্রাম্প’ করেছিলেন। সেই ট্রাম্পের বিসর্জন হয়ে গেল। আগামী ২০২৪ এ মোদিরও বিসর্জন হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আবার, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিকবার একাধিক অভিযোগ করেছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ নিরপেক্ষ নয়, শাসক দলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। এমন অভিযোগ উঠেছে বারেবারে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে ‘দিদির পুলিশ’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন। তার জবাবে গতকাল অনুব্রত মণ্ডল জানালেন যে, যে কোন নির্বাচন পরিচালনারই দায়িত্বে থেকে থাকে নির্বাচন কমিশন। সেখানে দাদা বা দিদির পুলিশ বলে কিছু থাকেনা। লোকসভা, বিধানসভা ভোট সেন্ট্রাল ফোর্স দিয়ে করানো হয়। এরপরই দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে তাঁর বিতর্কিত মন্তব্য, ” ও জানে না মূর্খ, রাখাল বাগাল তাই এই কথা বলেছে।” দিলীপ ঘোষ সম্পর্কে তাঁর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। প্রসঙ্গত আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচন যতই সামনে এগিয়ে আসছে, ততই এক দলের বিরুদ্ধে অপর দলের নেতাদের কুবাক্যের প্রয়োগ দিন দিন বাড়ছে। সকলেই যেন এখন ” কু কথায় পঞ্চমুখ, কণ্ঠ ভরা বিষ ” ঢেলে দিচ্ছেন একে অপরের প্রতি। আপনার মতামত জানান -