এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিমান ভুলে দিদি-দাদার একটা বৈঠকেই হয়ে যেতে পারে সব সমস্যার সমাধান! এখনও আশায় তৃণমূলীরা

অভিমান ভুলে দিদি-দাদার একটা বৈঠকেই হয়ে যেতে পারে সব সমস্যার সমাধান! এখনও আশায় তৃণমূলীরা


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন থেকে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তখন থেকেই সকলে দাবি করতে শুরু করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একবার বৈঠক করলেই সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে সেই রকম কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছিলেন, তখন তৃনমূলের প্রতিনিধি হিসেবে ময়দানে নেমেছিলেন সৌগত রায়।

শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। সাম্প্রতিককালে সেই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। আর তারপরেই তৃণমূলের অন্দরমহলে কার্যত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে, এবার দলত্যাগ করতে পারেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা। আর শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করলে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের অস্বস্তি যে দ্বিগুণ ভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, তা বুঝতে পারছেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।

বলা বাহুল্য, তৃণমূলে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর যদি কারও জনপ্রিয়তা থেকে থাকে, তাহলে তার নাম শুভেন্দু অধিকারী। তাই সেই শুভেন্দু অধিকারী যদি দল ছেড়ে দেন, তাহলে তার পথ অনুসরণ করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার তৃণমূলের অনেক জনপ্রতিনিধি দলত্যাগ করতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে বসেন, তত দ্রুত বরফ গলা সম্ভব বলে দাবি করছেন তৃণমূলের সকলে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের অনেকের কাছে।

অনেকে বলছেন, অতীতে মুকুল রায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি যখন দলত্যাগ করলেন, তখন তার মান ভাঙানোর জন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি তৃণমূল নেতৃত্বকে। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারী হেভিওয়েট নেতা হওয়া সত্ত্বেও ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত বা আলোচনায় বসা উচিত। কিন্তু তৃণমূলের একাংশ আবার বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে সব কিছু দিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি যদি এখন দল ত্যাগ করেন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তার সাথে আলোচনায় বসতে যাবেন! অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রী যদি নমনীয় না হন, তাহলে শুভেন্দু অধিকারী যেমন দলে সক্রিয় হবেন না, ঠিক তেমনই শুভেন্দু অধিকারী দলে সক্রিয় না হলে তৃণমূলের অবস্থা শোচনীয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপি যখন রাজ্যের শাসকদলের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে, তখন তৃণমূলে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদি শুভেন্দু অধিকারি দলত্যাগ করেন, তাহলে তৃণমূলকে তার করুণ ফল পোহাতে হবে। তাই এই পরিস্থিতিতে সমস্ত আশা-আশঙ্কা মাথায় রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই শুভেন্দু অধিকারীর মানভঞ্জন সম্ভব বলে দাবি করা হচ্ছে।

কিন্তু সেই সমস্ত কাজ যে খুব দ্রুত করতে হবে, তা না হলে যে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। তবে আদৌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি হবেন, নাকি দূতের মাধ্যমে তার সঙ্গে সমস্ত কথা সারবেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই লক্ষ্য রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!