প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে সেই শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার কাছে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে সিআইডি বলে মনে করছেন একাংশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বিশ্ব ব্যাংকের ঋণের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে সিআইডি।

এবার সুদীপ্ত সেনের দাবি মত 6 কোটি টাকা নেওয়ার ঘটনার জন্য পৃথক তদন্ত শুরু হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারী যদি তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করেন তাহলে রাজ্যের নিয়ন্ত্রণাধীন এই তদন্তকারী সংস্থা তার ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে তাকে বেকায়দায় ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের মতে, সুদীপ্ত সেন ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে উল্লেখ রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর নাম। তিনি জানিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তার কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তখন সুদীপ্ত সেনের চিঠি শুভেন্দু অধিকারীর ঘুম উড়িয়ে দিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর আগে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার প্রতিহিংসাপরায়ন ভাবে মামলা করেছিল বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। আর এবার শুভেন্দু অধিকারী যদি দলত্যাগ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে মামলা মাথাচাড়া দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই নতুন করে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে গোটা বাংলাজুড়ে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এখনও কি করবেন তা স্পষ্ট নয়‌। তবে তিনি যেদিকে এগোতে শুরু করেছেন, তাতে তার দল ছাড়ার ইঙ্গিত কার্যত স্পষ্ট বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগ করেন, তাহলে তার পথে হেটে অনেকেই তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তে শুরু করবেন। যা শাসকদলের কাছে ক্রমশ চিন্তার বিষয়।

তাই এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর হাতে থাকা সেই সমস্ত অনুগামীরা যাতে দলত্যাগ না করে, তার জন্য শুভেন্দু অধিকারী যদি বড় পদক্ষেপ নেন, তাহলে তার সাথে সাথেই তার বিরুদ্ধে এই সমস্ত আইনি জটিলতা সামনে নিয়ে আসতে পারে রাজ্যের শাসক দল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকা নয়ছয়ের পর এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সুদীপ্ত সেনের চিঠি অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।