প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ডায়মন্ডহারবারের ঘটনা নিয়ে বিজেপির যুব মোর্চা সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শোনা গেল। এদিন তিনি দাবি করেন যে এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল জড়িত আছে। তাঁর কথায়, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে এসব কাজ করছেন।” বলেই জানা গেছে।

তবে শুধু এই কথা বলেই তিনি থেমে থাকেননি। তিনি আরও জানান যে, তাঁকে ইচ্ছা করলে বাড়ির বাইরে যেতে দেবেন না। সেইসঙ্গে দলীয় নির্দেশ পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে এদিন এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তবে শুধু সৌমিত্র খাঁই নন, এর পাশাপাশি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকে দোষারোপ করেন বলেও জানা যায়।

এদিন তিনি মন্তব্য করেন যে, মুখ্যমন্ত্রীই পরিকল্পনা করে এইসব করাচ্ছেন। যেখানে বিজেপি সভাপতির মতো তাঁকেও নিশ্চিত করে বলতে শোনা গেছে যে আগামী বিধানসভায় ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রে বিজেপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। যদিও এই ঘটনায় আজই মুকুল রায় সরাসরি তৃণমূলকে হুমকি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে, যা দেখে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে।

বস্তুত, তৃণমূলের ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের পাল্টা হিসেবে বিজেপি ‘আর নয় অন্যায়’ প্রকল্পের কর্মসূচি সফল করতে বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছিলেন জেপি নাড্ডা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর খাসতালুকে বিজেপির অভিযানের পর জেপি নাড্ডার গন্তব্য অভিষেক-গড় ডায়মন্ডহারবার বলে জানা গিয়েছিল। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা ১২ টার সময় ডায়মণ্ডহারবারে সাংগঠনিক বৈঠক করার কথা ছিল জেপি নাড্ডার।

কিন্তু সভায় যাওয়ার পথে এদিন জেপি নাড্ডা এবং কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ি লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। বিক্ষোভকারীরা মুকুল রায়ের গাড়িতেও ভাঙচুর করে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ঘটনায় কৈলাস বিজয়বর্গীয় হাতে চোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ অমিত শাহর মন্ত্রককে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানান বলে জানা গেছে।

এছাড়া অমিত শাহর সঙ্গে জেপি নাড্ডার কথা হয় বলেও জানা যায়। আর এই চিঠি পেয়েই নাকি কেন্দ্র নড়েচড়ে বসেছে। কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আর এরই মধ্যেই বিজেপি নেতা নেত্রীদের এহেন চূড়ান্ত কটাক্ষে তৃণমূল জর্জরিত হয়ে পড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।