এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় নাম জড়াল হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাসহ অনেকের, তীব্র চাঞ্চল্য

বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় নাম জড়াল হেভিওয়েট তৃণমূল নেতাসহ অনেকের, তীব্র চাঞ্চল্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা আনাচে-কানাচে চোখে পড়ছে।  বীরভূমের ইলামবাজারে এক বিজেপি কর্মীর মৃতদেহ পাওয়া যায় এবং দাবি করা হয় রাজনৈতিক কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এই রাজনৈতিক হত্যার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বীরভূম। অন্যদিকে এই হত্যার পেছনে অনুব্রত মণ্ডলকে দায়ী করে বুধবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, বিজেপি কর্মীকে হত্যা করার পর তাঁর পরিবারকে ক্রমাগত হুমকি দিয়ে চলেছে তৃণমূল। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বিজেপির এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছে।

তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, অনুব্রত মণ্ডলের মতন হেভিওয়েট নেতাকে আটকানোর জন্য বিজেপির এই পদক্ষেপ। গতকাল ইলামবাজার থানার ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্দা গ্রামের বাসিন্দা বাপি আঁকুড় খুন হন। জানা যায়, সোমবার কাজে বেরিয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। মঙ্গলবার সকালে গ্রামের বাসিন্দারা তাঁর মৃতদেহ নদীর ধার থেকে আবিষ্কার করেন। বিজেপির অভিযোগ, বাপি তাঁদের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আর তাই তৃণমূলের দুষ্কৃতিরাই তাঁকে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বিজেপি অভিযুক্ত করেছে অনুব্রত মণ্ডল, ইলামবাজারের তৃণমূল নেতা ফজলুল রহমান, দুলাল রায়, শেখ সওকত, মজিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, ইলামবাজার থানার ওসিও নিরপেক্ষভাবে কাজ করছেননা। গত এক মাসের মধ্যে ইলামবাজার থানা এলাকায় একাধিক বিজেপি কর্মী হত্যা হয়েছে বলে দাবী করছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলায় অনুব্রত মণ্ডল আগেই জানিয়েছিলেন, বাপি কিভাবে মারা গিয়েছে তা ময়নাতদন্ত হলেই প্রকাশ পাবে। কিন্তু বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বলাই চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ইলামবাজারের বিজেপি কর্মীকে খুন করেছে তৃণমূল। পরিকল্পনা করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলসহ একাধিক নেতার নামে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাপি আঁকুড়ের বাবা পাঁচ জনের নামে ইলামবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এবং সেই অভিযোগপত্রে ফজলুল রহমান, দুলাল রায়, শেখ সওকত, মজিউর রহমানের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই নান্দা গ্রাম থেকে খুনী সন্দেহে দু’জনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই ইলামবাজারের বিজেপি কর্মী হত্যার ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপির চাপানউতোর বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমশ। পাশাপাশি গেরুয়া শিবির যেভাবে নির্বাচন কমিশনে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূল নেতাদের নামে, তাতে বিতর্ক আরো বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এলাকাজুড়ে চলছে পুলিশি টহল এবং তদন্ত অব্যাহত। আপাতত দেখার, তদন্তের সূত্রে খুনি হিসেবে কার নাম উঠে আসে!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!