আশা করেও মেলেনি টিকিট, শেখরের সমর্থনে প্রচারে উধাও শংকর! উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য March 24, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালের পর 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বালুরঘাট বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছিল বিশিষ্ট আইনজীবী শংকর চক্রবর্তীকে। 2011 সালে তিনি জয়লাভ করলেও 2016 সালে আর জয়লাভ করতে পারেননি তিনি। যার প্রধান কারণ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি করেছিল একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শঙ্করবাবু উপর ভরসা রেখে তাকে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়ে গিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই বালুরঘাটের সমস্ত সাংগঠনিক দায়িত্ব দেখভাল করতেন শংকর চক্রবর্তী। তার অনুগামীরা আশা করেছিলেন, এবার তাকেই দল টিকিট দেবে। কিন্তু হঠাৎ করে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন আসে। প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করেন বালুরঘাটের আরেক বিশিষ্ট আইনজীবী শেখর দাসগুপ্ত। আর তারপরই তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত শংকর চক্রবর্তীর বদলে বালুরঘাটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় শেখর দাশগুপ্তের নাম। স্বাভাবিক ভাবেই এর পরে কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়েন শংকর চক্রবর্তীর অনুগামীরা। যার ফলে এখন শেখর দাসগুপ্তর সমর্থনে অন্যান্যরা প্রচারে নামলেও সেভাবে দেখা মিলছে না শংকরবাবুর। একাংশ বলছেন, নির্বাচনের আগে বা প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার আগে যেভাবে শংকর চক্রবর্তীকে বিভিন্ন জায়গায় ছুটে যেতে দেখা যেত। তবে এখন আর তেমনটা নেই। সেভাবে রাজনীতিতে দেখা যাচ্ছে না তাকে। শংকর চক্রবর্তী প্রচারে আছেন এবং দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বা দলকে জেতাতেই তিনি প্রচার করবেন বলেই দাবি করছেন তার অনুগামীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত গুডবুকে ছিলেন এই শংকর চক্রবর্তী। কিন্তু এবার কোনো একটি কারণে দলের পক্ষ থেকে তাকে টিকিট দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি অনেকটাই হতাশ। তবে তার জায়গায় দুদিন হল দলে আসা শেখর দাশগুপ্তকে প্রার্থী করায় শংকর চক্রবর্তীর অনেক অনুগামী প্রথমদিকে তা মেনে নিতে পারেননি। যার ফলে এখন প্রার্থী না হয়ে কার্যত কোনো প্রচারে সেভাবে দেখা যাচ্ছে না রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি শংকর চক্রবর্তীকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাহলে কি গোঁসা করে তিনি ঘরে বসে রয়েছেন? একাংশ বলছেন, শংকর চক্রবর্তী দল অন্ত প্রাণ। তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি অত্যন্ত স্বচ্ছ। কিন্তু সেভাবে জনসংযোগ না থাকার কারণে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাকে প্রার্থী করা হয়নি। তবে যদি অতীতে 2016 সালের মত কোনো একটি পক্ষ তৃণমূলের প্রার্থীর সমর্থনে না নামেন, তাহলে বালুরঘাটে তৃণমূলের জয় লাভ যে কার্যত অশনিসংকেত হয়ে দাঁড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা এর আগে শংকর চক্রবর্তী 2016 সালের পরাজয়ের পেছনে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে। তাই এবারে সেই শঙ্করবাবু টিকিট না পাওয়ার পরে তিনি যেভাবে শেখরবাবুর হয়ে প্রচারে নামছেন না, তাতে আবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৃণমূলের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে শেষ মুহূর্তে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ময়দানে নামলে শংকরবাবুর মত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আবার দলের স্বপক্ষে সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে সমস্ত কিছু সামলাবেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, গত 2011 সাল থেকে বালুরঘাটে তৃণমূলের মুখ হয়ে গিয়েছিলেন শংকর চক্রবর্তী। সেদিক থেকে এবার শেখর দাশগুপ্তের মত মানুষকে প্রার্থী করার কারণে অনেকেই কিছুটা বিষন্ন। তবে শঙ্করবাবু যদি শেখরবাবুকে সাথে নিয়ে একসাথে রাজনীতির ময়দান সামলান, তাহলে এখান থেকে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। তবে শেষ মুহূর্তে যদি শঙ্করবাবু এইরকম ভাবে ঘরে বসে থাকেন, তাহলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে তৃণমূলের এবারের জয়ের পথে প্রধান কাটা হতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -