ডবল ইঞ্জিন বনাম বেঙ্গল ইঞ্জিনের প্রতিফলন হাইকোর্টের দোরগোড়ায়? দুঁদে আইনজীবীদের টক্কর দেখে অভিমত নেটিজেনদের! কলকাতা রাজনীতি রাজ্য May 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত সোমবার থেকে গোটা রাজ্যের নজর কেড়ে রেখেছে, রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর গ্রেপ্তারি এবং তা নিয়ে উত্তাল হওয়া রাজ্য রাজনীতির পরিস্থিতি। আধিকারিক ভাবে লড়াইটা সিবিআই বনাম অভিযুক্তদের হলেও, ইতিমধ্যেই তা কেন্দ্র বনাম রাজ্যের লড়াইয়ে যে পরিনত হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ভোটের সময় বহু চর্চিত সেই কেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিন বনাম রাজ্যের বেঙ্গল ইঞ্জিনের উদাহরণ টেনে আনছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সক্রিয় একাংশ। তবে ঘটনার সূত্রপাত, সোমবার হলেও, সকলের নজর আটকে রেখেছে আজকের উচ্চ আদালতের শুনানি। আর এই শুনানিতেও কেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিন এবং রাজ্যের বেঙ্গল ইঞ্জিনের লড়াই যে চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠতে চলেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে, দুই তরফ থেকেই নিয়োজিত দুঁদে আইনজীবীদের দেখে। একদিকে যেমন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের পক্ষে সওয়াল করবেন, অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার মেহেতা এবং প্রখ্যাত আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর। অন্যদিকে তেমনই কেন্দ্রের ডবল ইঞ্জিনকে প্রতিহত করার জন্য অভিযুক্ত রাজ্যের নেতা মন্ত্রীদের তরফ থেকে নিয়োজিত করা হয়েছে অন্যতম পোড়খাওয়া আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি এবং সিদ্ধার্থ লুথরাকে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে নিয়োজিত আইনজীবীরা বহু জটিল থেকে জটিলতর মামলার রায় নিজেদের পক্ষে ঘোরাতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি নিজেদের অকাট্য যুক্তির মাধ্যমে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে বিচারপতিদেরকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে তেমনই অতীতে বুনো ওলের সঙ্গে বাঘা তেঁতুলের মত লড়াই করেছে ধৃত নেতা-মন্ত্রীদের পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবীরা। আর এই সমস্ত পুরোনো অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, ভোটে যেমন সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল রাজ্যের বর্তমান শাসক এবং বিরোধী দল, এবার কোর্টেও তেমনই সর্বশক্তি দিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে ডবল ইঞ্জিন এবং বেঙ্গল ইঞ্জিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনের সময় লড়াইটা হয় মানুষের আবেগ, অনুভূতি, উন্নয়ন, প্রাপ্তি ইত্যাদিকে কেন্দ্র করে। কিন্তু কোর্টের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আবেগ, অনুভূতি মূল্যহীন। অকাট্য প্রমাণ, অভেদ্য যুক্তি এবং বাস্তব পরিস্থিতিই পারে, বিচারকের রায়কে নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসতে। আর সেক্ষেত্রে প্রধান সাধন হল, আইনজীবীরা। কারণ সিবিআই হোক অথবা অভিযুক্ত, কেউই নিজেদের যুক্তি নিজেরা উপস্থাপন করতে পারবেন না। তাদের ঢাল এবং তলোয়ার হয়ে লড়াই করবেন ডিফেন্স এবং প্রসিকিউটররা। কাজেই ভোটের রায় বেঙ্গল ইঞ্জিনের পক্ষে গেলেও, কোর্টের রায় ছিনিয়ে আনতে কে সক্ষম হয়! বেঙ্গল ইঞ্জিন নাকি ডবল ইঞ্জিন! তা নির্ভর করবে নিয়োজিত আইনজীবীদের যুক্তি-তর্কের উপরেই। আর কিছুক্ষণের তার উত্তর পাওয়া যাবে মহামান্য আদালতের রায়ের মাধ্যমে। আপনার মতামত জানান -