হুল দিবসেও শাসক-বিরোধী সংঘর্ষ, আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী! চাঞ্চল্য এলাকায়! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 1, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের হিংসার ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যার ফলে অত্যন্ত চাপে পড়ে গিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। তবে আদিবাসীদের হুল উৎসবকে কেন্দ্র করেও এবার রাজনৈতিক সংঘর্ষের সৃষ্টি হল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর এলাকায়। যেখানে তৃণমূল এবং বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লে এলাকা জুড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই আদিবাসীদের হুল উৎসব যখন সরকারের পক্ষ থেকে মহাসমারোহে বিভিন্ন জেলায় পালন করা হচ্ছে, তখন শাসক-বিরোধী তরজা এবং সংঘর্ষ কার্যত দুর্ভাগ্যজনক বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা গেছে, বুধবার দুপুরে কেশপুরের এনায়েতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক তৃণমূল কর্মীর দোকানে আদিবাসীদের পক্ষ থেকে তীর ছোড়া হয়। আর এরপরই গুরুতর আক্রান্ত হন তৃণমূল কর্মী শেখ হাবিব। পরবর্তীতে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ঘটার পরেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। আদিবাসীদের উৎসবের মধ্যেও কেন এই ধরনের সংঘর্ষ, তা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ইতিমধ্যেই এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলতে শুরু করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। কেশপুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি উত্তম ত্রিপাঠী বলেন, “বিজেপি কর্মীরা এদিন দুপুরে আমাদের সমর্থকের দোকানে তীর মেরেছিলেন। তারপর তার হাতের আঙুলে টাঙ্গাইয়ের কোপ মারা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শান্ত কেশপুরে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে হুল দিবসকে সামনে রেখে গন্ডগোল করা হয়েছে।” যদিও বা তৃণমূলের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাল্টা তাদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের পক্ষ থেকেই এই আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ বলেন, “প্রথমে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছে। ভূষণ মান্ডি সহ আমাদের প্রায় ছয়জন কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।” তবে গোটা ঘটনা যে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, তা বলাই যায়। ভোট-পরবর্তী হিংসার জন্য এমনিতেই বাংলার ভাবমূর্তি খুব একটা ভালো জায়গায় নেই বলেই দাবি করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তার মধ্যে আদিবাসীদের পবিত্র হুল উৎসবকে কেন্দ্র করে যেভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ছবি সামনে এল, তাতে ক্রমাগত প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। আপনার মতামত জানান -