এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অতিমারিতে প্রশ্নের মুখে পড়া পঠন-পাঠন নিয়ে বড় সুখবর! চিন্তা মুক্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা!

অতিমারিতে প্রশ্নের মুখে পড়া পঠন-পাঠন নিয়ে বড় সুখবর! চিন্তা মুক্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবকরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের গেট বন্ধ। কারণ করোনা ভাইরাস। প্রথম ঢেউয়ের পর বিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হলেও, যখন তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে, তখন কিছুদিনের জন্য স্কুল খোলা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেই দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে গরমের ছুটির কথা উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। সেদিক থেকে অনলাইন ক্লাসের উপরেই নির্ভরশীল হতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এই অনলাইন ক্লাস করা নিয়ে নানা সময় নানা সমস্যা তৈরি হয়েছে।

কখনও প্রযুক্তির অভাব, আবার কখনও বা তা ঠিকমতো পরিচালনা করতে না পারার কারণে ঠিকমতো পড়াশোনা হচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। তাই এই পরিস্থিতিতে এবার পড়ুয়াদের সুবিধার্থে এগিয়ে এল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। যেখানে রাজ্যের সমস্ত জেলার পড়ুয়াদের কাছে একটি ফোন কলের মধ্যে দিয়ে বিনামূল্যে ক্লাস করানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। অর্থাৎ অতিমারি পরিস্থিতিতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগ। যাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবক অভিভাবিকারা।

সূত্রের খবর সহজপাঠ নলেজ ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেখানে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে একটি ফোন নম্বর। যা হল, 9983988003। একইভাবে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্যও একটি টোল ফ্রি নম্বর দেওয়া হয়েছে যা হল 18008906006। তবে শুধু পড়ুয়ারাই নয়, প্রয়োজনে যদি এখানে কেউ শিক্ষকতা করতে চান, তা হলেও সেই সুযোগ থাকছে। যেখানে স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষক হিসেবে কেউ যদি কাজে যোগ দিতে চান, তাহলে তাদের জন্য যোগাযোগ করার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে নম্বর। যা হল, 7603038383। অর্থ্যাৎ করোনা ভাইরাস শিক্ষাব্যবস্থাকে কিছুটা থমকে দিলেও, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এখন পড়ুয়ারা নতুন দিশা খুঁজে পাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বলা বাহুল্য, এবার করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার কারণে স্থগিত হয়ে গিয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। ধীরে ধীরে রাজ্য সচল হতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় ঢেউকে বিলীন করার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতবর্ষ এবং বাংলা। আর এই পরিস্থিতিতে যখন বিভিন্ন ক্ষেত্র খুলতে শুরু করেছে, তখন কেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলবে না, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন। দ্রুত শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল করার আবেদন জানাচ্ছেন শিক্ষাবিদরা। কিন্তু সরকার এখনই কোনোরকম রিস্ক নিতে নারাজ। অনলাইন মাধ্যমের ওপর ভরসা করে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকারা সকলেই অনলাইন ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে অতটা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে পারছেন না‌। সামনাসামনি ছাত্র-ছাত্রীদের পেয়ে তাদের পড়া বোঝানো থেকে শুরু করে পড়া আদায় করার সেই দিনগুলো আজ কার্যত স্মৃতির খাতায়। তবে এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, তার জন্যই‌ “টিচার অন কল” বলে একটি প্রকল্প এনে ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করল এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তবে এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা কতটা স্বচ্ছন্দ বোধ করতে পারে, অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এই উদ্যোগ তাদের কাছে কতটা লাভবান হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!