এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শিশু পাচারকারীর সাথে বিজেপি সাংসদের ছবি প্রকাশ্যে এনে হইচই ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

শিশু পাচারকারীর সাথে বিজেপি সাংসদের ছবি প্রকাশ্যে এনে হইচই ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেবাঞ্জন কান্ডে যেমন জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, মন্ত্রীরা দেবাঞ্জনের সাথে একই ফ্রেমে থাকার জন্য, ঠিক সেভাবেই এবার শিশু পাচারকারীর সঙ্গে ছবি থাকার দরুণ বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সদস্য সুভাষ সরকার। প্রসঙ্গত, বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ এবং বেশ কয়েকজন শিশু পাচারকারী হিসাবে ধরা পড়েছেন। আর তারপরেই সরব হয়েছে তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা টুইটারে রীতিমতো তোপ দেগেছেন বিজেপিকে। কার্যত তিনি একটি ছবি সামনে এনেছেন যেখানে অভিযুক্ত শিশু পাচারকারীর সঙ্গে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে দেখা যাচ্ছে।

যদিও শশী পাঁজার এই টুইটকে বিজেপি দেবাঞ্জন কান্ডের বদলা বলে পাল্টা তোপ দেগেছে। কার্যত বাঁকুড়ায় শিশু পাচার চক্রে জড়িত সন্দেহে একটি স্কুলের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়া ছাড়াও আরো 7 জন ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। এবং এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তৃণমূল কোমর বেঁধে ময়দানে নেমে পড়েছে। সোমবার এই নিয়ে বিজেপির দিকে আঙুল তুলে একটি টুইট করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এবং সেই টুইটে একটি ছবি তিনি জুড়ে দেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে, অভিযুক্ত অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়ার সঙ্গে একই ফ্রেমে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই ছবি দিয়ে শশী পাঁজা পাল্টা জানিয়েছেন, বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সঙ্গে শিশু পাচারকারীর সংযোগ কিন্তু যথেষ্ট উদ্বেগজনক। পাশাপাশি বিজেপিকে এই নিয়ে কটাক্ষও করেছেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকেও পাল্টা সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, কোন ছবি দিয়ে কিছু প্রমাণ করা যায়না। জাল টিকা কাণ্ডে দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বিভিন্ন নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যেসব তথ্য প্রমাণ সামনে এসেছে, তা চাপা দিতেই এভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে বিজেপিকে। উল্লেখ্য, বছর চারেক আগে জলপাইগুড়ির একটি হোমে শিশু পাচারের অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় ওই ঘটনায় যোগ পাওয়া গিয়েছিল বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা জুহি চৌধুরীর।

এমনকি সেসময় রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও সিআইডির তরফ থেকে নোটিশ পাঠানো হয়। পরবর্তীতে অবশ্য এই নিয়ে আর কিছু শোনা যায়না। অন্যদিকে তৃণমূল মন্ত্রীর হাত ধরে যে ছবি সামনে এসেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পাশাপাশি কদিন আগে তৃণমূলের গলায় যেকথা শোনা যাছিল, এবার সেই কথাই শোনা যাচ্ছে বিজেপির গলায়- অর্থাৎ ছবি দিয়ে কিছু প্রমাণ হয়না। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরে যে অস্বস্তি তৈরী হয়েছে তা আন্দাজ করা যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!