চরম সময়সীমা আর দুমাস – তৃণমূল সাংসদদের করা পাল্টা মামলায় সিবিআইএর হাতে মাত্র এই সময় রাজ্য December 16, 2018 লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই সারদা-নারদার মত কান্ড গুলি নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে রাজ্যে মাথাচাড়া দিচ্ছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা গুলির কড়াকড়ি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বারবার বিভিন্ন হেভিওয়েট নেতৃত্বকে ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই ও ইডির অফিসাররা। কিন্তু এবার ঘটলো উল্টো ঘটনা। কলকাতা হাইকোর্টে নারদা কান্ডের চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করার জন্য সিবিআইকে দু মাস সময় বেঁধে দিল। নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ওরফে আফরিন আলীর করা মামলার ভিত্তিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সিবিআইকে এই নির্দেশ দেয়। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা আদালতকে জানায়, যে স্টিং অপারেশনের জন্য যে সমস্ত ইলেকট্রনিক্স যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছিল তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের পক্ষে সম্ভব নয়। সেই সমস্ত তথ্য উদ্ধারের জন্য বিদেশি সংস্থার সাহায্য নিতে হবে। সেই কারণেই এখনো পর্যন্ত নানা তথ্য হাতে আসেনি। আদালত এর পরিপ্রেক্ষিতেই দু মাসের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেন। এদিকে, মামলাকারীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালে নারদ কান্ডের মাস্টারমাইন্ড ম্যাথুর কাছ থেকে স্ট্রিং অপারেশনে ব্যবহৃত আইফোন ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ আদালতের তরফ থেকে চাওয়া হলে তিনি বিভিন্ন অজুহাতে সময় নষ্ট করেন। মামলাকারীর দাবি, ম্যাথু যখন আদালতের হাতে সেসব তুলে দেন ততদিনে ল্যাপটপ ও ফোন থেকে অনেক কিছুই বদলে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে মামলাকারীর দাবির স্বপক্ষে ফরেনসিক রিপোর্টে বলা হয়, স্টিং অপারেশনে ব্যবহৃত করা ফোন এবং আদালতে জমা দেওয়া ফোন এক নয়। এমনকি ফরেনসিক আরো জানায় আদালতে জমা দেওয়ার আগে ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক বদল করা হয়েছে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার ওরফে আফরিন আলী দাবি করেন,আদালতে যে সমস্ত তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে তা আইনের চোখে গ্রহণযোগ্য নয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা জানায়, যে আইফোন থেকে স্ট্রিং অপেরেশন অপারেট করা হয়েছে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু যে কোনো বিশেষজ্ঞের পক্ষে তা থেকে তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব নয়। একমাত্র ওই ফোন তৈরীর সংস্থার বিশেষজ্ঞরা এ পারেন ওই ফোন থেকে তথ্য উদ্ধার করতে। আপাতত সিবিআই সেই প্রক্রিয়ায় চালাচ্ছে। আদালতকে সিবিআই জানায়, সেই কারণেই রিপোর্ট পেশ করতে এত দেরী হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -