এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ‘দ্যাখ, কেমন লাগে’ দাবি বিজেপির! অনুমতি না থাকায় বাংলার বুকেই সভা করতে না পেরে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ দাবি তৃণমূলের!

‘দ্যাখ, কেমন লাগে’ দাবি বিজেপির! অনুমতি না থাকায় বাংলার বুকেই সভা করতে না পেরে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার’ দাবি তৃণমূলের!


বাংলায় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম ফোটাতে মরিয়া গেরুয়া শিবির – আর তাই, বাংলার বুকে ঝড় তুলতে বিজেপির একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতা, অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা শীর্ষ নেতৃত্ব একের পর এক রাজনৈতিক সভা করার পরিকল্পনা করেছেন। কিন্তু, গেরুয়া শিবিরের তরফে দাবি – তাদের সেই রাজনৈতিক সভা নাকি বিভিন্ন ‘অজুহাতে’ থামাতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কখনো সভার জন্য জমি আটকে দিচ্ছে, তো কখনো নেতাদের হেলিকপ্টার নামার অনুমিতি নেই তো আবার কখনো মিলছে না পুলিশি অনুমতি।

আর এই সব প্রতিবন্ধকতার সামনে দাঁড়িয়ে এতদিনের চেনা ছবি ছিল – হয় বিজেপির সভা বাতিল অথবা অন্য রাজ্যে নেমে, সেখান থেকে সড়কপথে এসে কোনো রকমে সভা করা। আর বিজেপির সভা এইভাবে আটকে দেওয়া নিয়ে তীব্রভাবে সোচ্চার হয়েছিলেন মুকুল রায়ের মত গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতারা। মুকুলবাবুর স্পষ্ট অভিযোগ ছিল, জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধবাবুর বাম-আমলে বিরোধীরা ভোট করতে না পারলেও রাজনীতি করতে পারতেন। কিন্তু, গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকার নিয়ে রাজ্যের ক্ষমতায় আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে নাকি বিরোধীদের রাজনীতিটুকু করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়েছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু, এতদিনের চেনা ছবিতে এবার যেন উলটপুরাণ! তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত সিদ্ধান্ত – যেখানে যেখানে বিজেপি জনসভা করবে, তার কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে পাল্টা জনসভা করবে শাসকদল। গত ২ ফেব্রুয়ারি আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় রেল ময়দানে সভা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আর ঘোষিত নীতি মত, তারই পাল্টা সভা, আজ সেখানেই করার জন্য ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু, শাসকদলের তরফে সেখানে মঞ্চ বাঁধতে গেলে রেল পুলিশ স্পষ্ট জানিয়ে যেহেতু সভার অনুমতি নেই, তাই সেখানে কিছুতেই সভা করতে পারবে না শাসকদল। ফলে, কিছুটা পিছু হঠেই সভার জন্য বাঁধা মঞ্চ খুলে নিতে বাধ্য হন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনায় তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ শাসকদলের নেতারা, অভিযোগ উঠছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার। এই প্রসঙ্গে, রেলকে প্রভাবিত করে চক্রান্তের অভিযোগ করেছে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা নেতৃত্ব। কিন্তু বাংলার বুকেই কেন সভা করতে পারল না রাজ্যের শাসকদল? জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মাঠটি যেহেতু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নিয়ন্ত্রণে তাই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অনুমতি ওই দপ্তরের কাছ থেকেই নেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁদের বক্তব্য – এটা প্রশাসনিক বিষয়, বিজেপির কিছু করার নেই। অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা নেতার কথায় – দ্যাখ, কেমন লাগে! যারা আজ রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলছে, তারা কি আমরা সভা করতে গেলে রসগোল্লা খাওয়াচ্ছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!