এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’ আলিপুরদুয়ার দখলের ‘ছক’? বিস্ফোরক অভিযোগ মুকুল রায়ের

‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’ আলিপুরদুয়ার দখলের ‘ছক’? বিস্ফোরক অভিযোগ মুকুল রায়ের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – মাঝে শুধু কালকের দিনটা – তারপরেই গোটা দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দুই আসন কুচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে হতে চলেছে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম দফার ভোট গ্রহণ। এরমধ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আজই কুচবিহারের এসপিকে সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন – কিন্তু তার পরেও বিতর্ক থামছে না ভোটগ্রহণের সময় কমিশন ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। আর এবার বিতর্কের কেন্দ্রে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্র। এই আসন বরাবরই আরএসপির শক্ত ঘাঁটি – কিন্তু ২০১৪ সালে আরএসপির ঘর ভেঙে দশরথ তিরকেকে প্রার্থী করে বাজিমাত করে তৃণমূল কংগ্রেস।

অন্যদিকে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে যে কটি আসন গেরুয়া শিবির পাখির চোখ করেছে, তারমধ্যে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রটি আছে বেশ উপরের দিকে। ফলে, সেখানে হাড্ডাহাড্ডি ত্রিমুখী লড়াই হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু, সেই লড়াই শুরু আগেই তীব্র বিতর্ক এই কেন্দ্র ঘিরে। আজ এক সাংবাদিক বৈঠক করে আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার তথা আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক শুভাঞ্জন দাস জানান, আলিপুরদুয়ারের ৪৫% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে এবং ২৭% বুথে থাকছে আধাসেনা। অর্থাৎ আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের মাত্র ২৮% বুথে থাকছে রাজ্যের সশস্ত্র বাহিনী।

কিন্তু আপাত নিরীহ এই ঘোষণার পিছনেই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রীতিমত প্রশাসনের উপর ক্ষোভে ফুঁসছেন তাঁরা। শুভাঞ্জনবাবুর এই ঘোষণার পিছনে নাকি আছে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’! কিন্তু, কি সেই ‘ষড়যন্ত্র’ যার জন্য তুলকালাম আলিপুরদুয়ার জুড়ে? এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের সাংবাদিক বৈঠকের ভিডিও আমি দেখেছি, ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না দেওয়া হলে এখানে কিছুতেই অবাধ নির্বাচন হতে পারে না!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু যেখানে স্বয়ং জেলাশাসক আশ্বস্ত করছেন অবাধ ভোটের জন্য, সেখানে কেন এত অভিযোগ? জবাবে মুকুলবাবু পাল্টা প্রশ্ন করেন, আপনার জানা আছে কে এই শুভাঞ্জন দাস? এর আগে কি করতেন তিনি? শুভাঞ্জনবাবু তো এর আগে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্সোনাল সেক্রেটারি। আলিপুরদুয়ারের নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে এবং নির্বাচন কমিশনকে সঠিক তথ্য না দিয়ে বিপথে পরিচালিত করার জন্যই তাঁকে এখানে জেলাশাসক করে পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। যথেষ্ট পরিমান কেন্দ্রীয় বাহিনী আসা সত্ত্বেও একটা বড় অংশের বুথে রাজ্যের পুলিশ দিয়ে ভোট করানোর পিছনে বড়সড় অভিসন্ধি আছে – যা কিছুতেই কার্যকর হতে দেব না।

এই প্রসঙ্গে আপাতত মুকুলবাবুর ব্যাক-অফিস সামলানো বিজেপির এক ডাকাবুকো তরুণ-তুর্কির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, এখানে বড় গেম আছে! কি গেম? তাঁর কথামত, যে পরিমান কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে আলিপুরদুয়ারে ভোট পরিচালনা করতে, তাদেরকে ‘অতি-স্পর্শকাতর’ ও ‘স্পর্শকাতর’ আখ্যা দিয়ে এমন বুথে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যা নাকি আদতে বেশ শান্তশিষ্ট। আর এইভাবেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ‘কোটা’ শেষ করে দিয়ে যে বুথগুলি ‘নিরীহ’ আখ্যা দিয়ে ফাঁকা রাখা হচ্ছে, আদতে সেগুলিই হচ্ছে ‘ভোট লুঠের’ ইতিহাস সমৃদ্ধ। নির্বাচন কমিশনকে এইভাবে ‘ভুল তথ্য’ দিয়ে বিভ্রান্ত করে ‘ভোট লুঠ করার সুযোগ তৈরী করে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ ও প্রশাসনেরই একাংশ।

মুকুলবাবুর কথার রেশ ধরেই ওই তরুণ নেতার বিস্ফোরক অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারে হেরে যাওয়ার ভয়ে কাঁপছে তৃণমূল। আর তাই এখানে ভোট লুঠের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনকে ‘নির্লজ্জভাবে’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এই যে ‘স্পর্শকাতর’ ও ‘অতি-স্পর্শকাতর’ বুথ তা তো তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বসে ঠিক করেছেন শুভাঞ্জনবাবু। ওনাকে তো এই কাজের জন্যই এখানে পাঠিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী – কেননা শুভাঞ্জনবাবু এক সময় মমতা ব্যানার্জির পার্সোনাল সেক্রেটারি হিসাবে কাজ করেছেন। এমনকি শুভাঞ্জনবাবুর বাড়ির ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানেও তৃণমূল নেত্রীকে দেখা যায় – তাহলে উনি কি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা করবেন? এটা কি বিশ্বাসযোগ্য?

ওই যুব নেতার এরপরেই বিস্ফোরক অভিযোগ, যেখানে সাধারণ মানুষ থেকে ভোটকর্মী সকলেই ১০০% বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইছেন – সেখানে উনি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বিশাল সংখ্যক বুথ ‘ফাঁকা’ রেখে ভোট লুঠের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন – আমরা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের কাছে এই নিয়ে বিস্তারিত ভাবে রিপোর্ট করব। গেরুয়া শিবিরের তরফে এইরকম বিস্ফোরক অভিযোগ পাওয়ার পর প্রিয় বন্ধু মিডিয়ার তরফে চিফ ইলেকটোরাল অফিসার ডঃ আরিজ আফতাবের সঙ্গে বারবার টেলিফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, প্রতিবারেই তাঁর ফোন বেজে গেছে, তিনি ফোন ওঠাননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!