১৮ বিধায়ক যোগ দিতে চাইছেন বিজেপিতে, চাপ বাড়িয়ে দাবি কেন্দ্রীয় নেতার জাতীয় রাজ্য July 5, 2019 লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সরাতে জোর প্রচার চালাতে দেখা গিয়েছিল তাকে। কিন্তু বাস্তবে নির্বাচনের ফলাফলে তার সেই আশা পূর্ণ হয়নি। উল্টে ব্যাপক মোদি ঝড়ে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছে তাঁকে। আর এবার সেই অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নাইডুর ঘর ভাঙতে শুরু করেছে। বস্তুত, কিছুদিন আগেই তেলেগু দশম পার্টির 8 জন সাংসদের মধ্যে প্রায় 10 জন সাংসদ গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছিলেন। আর তারপরই সেখানে প্রবল জল্পনা ছড়ায়। আর সাংসদ খাওয়ানোর পর এবার নিজেদের বিধায়ক সংখ্যাতেও ভাটা পড়তে চলেছে সেই চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপিতে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। কিন্তু হঠাৎ করে এই ধরনের জল্পনা ছড়াল কেন! সূত্রের খবর, বিজেপির জাতীয় সম্পাদক তথা অন্ধপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি নেতা সুনিল দেওধর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, “বিজেপির সঙ্গে অন্ধ্রপ্রদেশের প্রায় 18 জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর এই ঘটনার পরই বাংলায় যেভাবে তৃনমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাগপাশ ছিন্ন করে অনেক বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে চলেছেন, ঠিক একইভাবে অন্ধ্রপ্রদেশেও তারই প্রতিধ্বনি হবে বলে দাবি করতে থাকে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, টিডিপি বিধায়কদের দল ছাড়ার পেছনে চন্দ্রবাবু নাইডুর দুর্নীতিই দায়ী বলে এদিন দাবি করেছেন বিজেপি নেতা সুনিল দেওধর। তিনি বলেন, টিডিপি বিধায়করা বুঝতে পেরেছেন যে, তাদের নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডু খুব তাড়াতাড়ি জেলে যাবেন। কারণ ওর নামে বিভিন্ন দুর্নীতি রয়েছে। তাই সেই সমস্ত বিধায়করা উন্নয়নের লক্ষ্যেই বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন।” কিন্তু মুখে এহেন কথা বললেও সুনিল দেওধর কি আদৌ চন্দ্রবাবু নাইডুর ঘর ভাঙতে পারবে! এখন তা নিয়েই তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর এবার অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুর দলীয় বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা সৃষ্টি হল। আপনার মতামত জানান -