অবশেষে জয়ের খবর এল পদ্ম শিবিরে, উচ্ছসিত গেরুয়া শিবির জাতীয় January 2, 2020 লোকসভা ভোটে সাফল্যের পর থেকে শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। বিধানসভা নির্বাচন হোক বা পঞ্চায়েত কি পুরসভা কিংবা উপনির্বাচন, বিভিন্ন ভোটে শুধু হেরেই চলেছিলো বিজেপি। অবশেষে ভোটের ময়দানে ঘুরে দাঁড়াতে সমর্থ হল বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে গেরুয়া ঝড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রবিবার ছিল গুজরাটে পঞ্চায়েত উপনির্বাচন। আর সেই নির্বাচন ঝড়ে রীতিমতো উড়ে গেল বিরোধী দল কংগ্রেস। মোদী রাজ্যে পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে রীতিমতো ধরাশায়ী করে ছাড়লো গেরুয়া শিবির। দীর্ঘদিন পর ভোটের ময়দান থেকে খবর এলো, বিজেপি শিবিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে ঝড়ে উড়ে গেল বিরোধীদল। সে রাজ্যে পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে কংগ্রেস ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপির কাছে। 33 টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে 29 টি, কংগ্রেস দখল করেছে মাত্র তিনটি আসন। একটি আসনে জিতেছে নির্দল প্রার্থী। গত মঙ্গলবার গুজরাটের পঞ্চায়েতের 33 টি আসনে উপনির্বাচন হওয়ার জন্য গুজরাট নির্বাচন কমিশন একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এই 33 টি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতে বিজেপি। অর্থাৎ ভোট হয় মোট 30 টি আসনের মধ্যে। 26 টি দখল করে নেয় পদ্ম শিবির, বিরোধী কংগ্রেস যেতে 3 টি আসনে। তবে অপেক্ষাকৃত বেশি গুরুত্বপূর্ণ জেলাগুলিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে পিছনে ফেলে দখল করেছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, জেলা পঞ্চায়েতের তিনটি আসনের মধ্যে দু’টি দখল করেছে কংগ্রেস শিবির, একটি বিজেপি দখল করেছে। অন্যদিকে, সাতাশটি তালুকা পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে পঁচিশটি দখল করে নিয়েছে বিজেপি। নির্দল একটি জিতেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গুজরাট পঞ্চায়েত উপনির্বাচনের এই ফলাফল গেরুয়া শিবিরে অক্সিজেনের যোগান দিয়েছে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিধানসভার উপনির্বাচনে বিজেপি শিবির বেশ কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল। অতএব গুজরাটের বিজেপির এই জয় পদ্ম শিবিরকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। গুজরাট পঞ্চায়েতের উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি জিতু ভাগানি দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রুপানি জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রমাণ করছে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস রীতিমতো হারিয়ে যেতে চলেছে। অন্যদিকে গুজরাটে বিজেপি রাজ্য সভাপতি জিতু ভাগানি বলেছেন, কংগ্রেস কৃষকদের ভুল বুঝিয়েছিল। কৃষকরা তাঁদের ভুল বুঝতে পেরে আবার বিজেপি শিবিরে ফিরে আসছেন। অন্যদিকে, কংগ্রেস শিবির জনগণের রায়কে গুরুত্ব দিলেও এই উপনির্বাচনের ফলাফলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি নয়। কংগ্রেস জানিয়েছে, এই উপনির্বাচনে শাসক দলের জয় পাওয়ায খুব স্বাভাবিক। তাছাড়া খুবই সামান্য কয়েকটি আসনে লড়াই হয়েছে, সেই লড়াই কে এত বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। দীর্ঘ সময় পর গুজরাটে ধামাকাদার ফল করল বিজেপি। নির্বাচনে জয়ের ধারা বজায় রাখল তাঁরা। এনআরসি ও সিএএ নিয়ে যখন দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জনমত দানা বাঁধতে শুরু করেছে, তখন এই জয় যথেষ্ট তাৎপর্যতা বহন করছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ। মোদির রাজ্যে বিরোধী দল কংগ্রেস লড়াই দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে রাজনৈতিক আঙিনায় কংগ্রেস গুজরাতের এই উপনির্বাচনের জয়কে গুরুত্ব দিতে নারাজ। উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাঁরা জনগণের রায় মেনে নিচ্ছে। খারাপ ফলের কারণ তাঁরা অবশ্যই পর্যালোচনা করবে বলে জানিয়েছে। আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস পদ্ম শিবিরে। আপনার মতামত জানান -