করোনা রুখতে লকডাউন আসলে ‘বিরাট ভুল’? সামনে এল নোবেলজয়ীর চমকে দেওয়া বিস্ফোরক যুক্তি! আন্তর্জাতিক বিশেষ খবর May 17, 2020 বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর দেখা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ লকডাউন এর শরণাপন্ন হয়েছে। কোথাও কম, কোথাও বেশি- লকডাউন কিন্তু হয়েছে। এখন যেমন ভারতে লকডাউন এর তৃতীয় পর্যায় চলছে। খুব শীঘ্রই ভারত লকডাউনের তৃতীয় পর্যায় থেকে চতুর্থ পর্যায়ে প্রবেশ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু লকডাউন চললেও সাধারণ মানুষের জীবন কিন্তু বিপন্ন হয়ে উঠছে। এ কথার সত্যতা বজায় রেখে লকডাউনকে বিশাল ভুল বলে ব্যাখ্যা করলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট। সম্প্রতি তিনি জানান, চীন যেভাবে করোনাকে সামাল দিয়েছে, তা লক্ষ্য করলে অন্যান্য দেশের সরকাররাও খুব সহজেই করোনাকে নিয়ন্ত্রন করতে পারত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক কাজকর্ম বন্ধ করে বিপর্যয়ের মুখে পড়তো না। এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞানী আরও বলেন, করোনা সংকট খুব ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছে জার্মানি এবং সুইডেন। এ প্রসঙ্গে মাইকেল লেভিট বলেন, এই দুই দেশ লকডাউন বেশিদিন করেনি। কিন্তু হার্ড ইমিউনিটি দিয়ে গোটা দেশকে সচল রেখেছে। অসুস্থ হয়েছিল সামান্য সংখ্যক কিছু লোক। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, অষ্ট্রিয়া, ইজরায়েল সহ অন্যান্য দেশগুলিতে দেখা গেছে ভিন্ন ছবি। সেখানে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগেই লকডাউন দিয়ে দেওয়া হয় শুরুতেই। তার ফলে সামাজিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক ভাবে দেশগুলি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। সাথে কোন হার্ড ইমিউনিটিও প্রতিষ্ঠিত হয়নি দেশগুলিতে। বিজ্ঞানী আরও জানান, এর ফলে করোনা ভাইরাস এর পরবর্তীকালে হার্ড ইমিউনিটি প্রাপ্ত দেশগুলি যেভাবে সুরক্ষিত থাকবে, ঠিক একইভাবে অন্য পক্ষ ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আগামী দিনে করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচতে বিজ্ঞানীর পরামর্শ, মুখের মাস্ক, হাত জীবাণুমুক্তকরণ এবং স্পর্শবিহীন বিভিন্ন পরিষেবা চালু করা এবং বয়স্কদের আইসোলেশন রাখা- এই কয়েকটি প্রতিকার করলেই করোনা কোনরকম ভাবেই তার মারণ থাবা প্রসারিত করতে পারবেনা। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশে দেখা যাচ্ছে লকডাউন চললেও করোনা সংক্রমণ কিন্তু দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। যদিও বিজ্ঞানীরা আগেই জানিয়েছিলেন, লকডাউন চললেও করোনা সংক্রমণকে কিছু মাত্রায় আটকানো যাবে। কিন্তু এই ভাইরাসকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করা যাবে না। বিজ্ঞানীদের কথা যে ঠিক তা বর্তমানে প্রমাণ হচ্ছে। তবে মাইকেল লেভিট সহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরাও সাবধানতা ও সতর্ক থাকার কথাই বারবার বলছেন। যেহেতু কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি, তাই করোনার হাত থেকে বাঁচতে এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই। তবে যত দিন যাচ্ছে করনার প্রতিষেধক আবিষ্কার এর আশা ততই পরিস্ফুট হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী যেকোনো মুহূর্তেই আবিষ্কার হয়ে যেতে পারে করোনার প্রতিষেধক। ততদিন পর্যন্ত ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতেই হবে। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের একটাই কামনা, যেনতেন প্রকারেণ পৃথিবী থেকে করোনার বিদায়। আপনার মতামত জানান -