দলের নেতারাই মানছেন না প্রধানমন্ত্রীর কথা, বড়সড় অভিযোগ উঠলো বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 24, 2020 প্রথম দফার লকডাউন ঘোষণা সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবেদন করেছিলেন, কাজ বন্ধ থাকলেও বাড়ির পরিচারক-পরিচারিকা, গাড়ির চালক থেকে বেসরকারি কর্মীদের বেতন কাটবেন না। কিন্তু তাঁর দলের রাজ্য অফিসে কর্মরত মাস-মাইনের কর্মীদের হাতই খালি।আর সেখানেই অভিযোগ উঠছে যে দলের নেতারাই মানছেন না প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে। সম্প্রতি করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছে রাজ্য বিজেপি।এবার একই অভিযোগ উঠলো রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে। লকডাউন মানতে গিয়ে রাজ্য বিজেপির অফিসের কর্মীদেরই বেতন মিলছে না বলে এবার অভিযোগ উঠলো। তাঁর দলের রাজ্য অফিসে কর্মরত মাস-মাইনের কর্মীদের হাতই খালি। লকডাউনে তাঁরা বেতন পাননি বলে অভিযোগ। বেজায় অনটনে পড়েছেন ২৩ থেকে ২৪ জন কর্মী। ঘটনাটি স্বীকার করেছেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তাঁর দাবি, তাড়াতাড়ি মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে। জানা গেছে এই করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা তথ্য লুকানোর অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। আর এবার এই খবর সামনে আসতেই মাঠে নেমেছে তৃণমূল। এবার একই সুরে রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। তাদের মতে, ‘শুধু নোংরা রাজনীতিতেই ব্যস্ত দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহারা। হাজার-হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করে রাজপ্রাসাদের মতো পার্টি অফিস বানায় যাঁরা, তাঁরা নিজেদের গরিব কর্মীদেরই বেতন দেয় না। এটাই বিজেপির আসল রূপ। ধিক্কার।’ আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত জানা গেছে রাজ্য বিজেপির অফিসে প্রায় ২৫ জন কর্মরত। কেউ অফিস পরিষ্কার করেন, আবার কেউ অফিসের গাড়ি চালক। সেক্ষেত্রে লকডাউন চালু হওয়ার পর থেকেই কেউই বেতন পাচ্ছে না বলে অভিযোগ । প্রাপ্ত তথ্য মারফত জানা গেছে এদিন এক কর্মী জানিয়েছেন, ‘সামান্য কটা টাকা পাই। সেটুকুও পাচ্ছি না। খাওয়া-দাওয়াটুকু চলবে কী করে?’ জানা গেছে লকডাউনের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন করোনার জেরে গরীব মানুষের পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হতে শুরু করবে তাই তিনি অনুরোধ জানিয়ে ছিলেন যাতে কোনো পরিস্থিতিতেই তাদের বেতন বন্ধ না করা হয়। অভিযোগ উঠেছে রাজ্য বিজেপির কোষাধ্যক্ষ সওয়ার ধননিয়ার বিরুদ্ধেও । জানা যাচ্ছে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আশিসে’ রাবার বোর্ডে পদ পেয়েছেন। লকডাউনেও তাই গাড়িতে যাতায়াত করেছেন। কিন্তু রাজ্য দফতরে একবার ও পা পড়েনি তাঁর। যার জেরেই আটকে দফতরের কর্মীদের বেতন। এই খবর সামনে আসতেই শুরু হয়েছে হৈচৈ। এখন দেখার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পরে কবে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে ঐসব কর্মীদের বেতন কবে মেটানো হয়। আপনার মতামত জানান -