এবার মহুয়ার নামে বড়সড় অভিযোগ নিয়ে দলের হেভিওয়েটরা পার্থর দ্বারস্থ, পারদ চড়ছে তৃণমূলের অন্দরে , বাড়ছে অস্বস্তি! কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 1, 2020 এবার মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে জেলায় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করলো। যার জেরে নেতারা সেই অসন্তোষ চেপে না রেখে নেত্রীর বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি ও মহাসচিবকে ফোন করেছেন। নেত্রীর বিরুদ্ধে যা যা অসন্তোষ আছে সেই সব ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। জানা যাচ্ছে রবিবার রাতেই তেহট্টের বিধায়ক তথা অবিভক্ত জেলা কমিটির প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, রাজ্যের কারামন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক তথা অবিভক্ত জেলা কমিটির প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি কল্লোল খাঁ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ জানিয়েছেন শীর্ষ নেতৃর্ত্বকে। তাদের অভিযোগ, তাঁদের কিছু না জানিয়েই দলের মধ্যে এত বড় একটা সাংগঠনিক পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। এই নিয়ে তাদের পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়েছে দলের নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও। তাঁদের দাবি যে সত্যি তা কিছুটা আন্দাজ করা যাচ্ছে দলের অন্দরে কান পাতলেই , সরাসরি দলীয় কর্মীরা অভিযোগ করছেন ও জানাচ্ছেন, ‘এই মানুষগুলোকে সামনে রেখে আমরা সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করে ক্ষমতায় এসেছি। এই নেতারাই এক দিন আমাদের বুক দিয়ে আগলে রেখেছিলেন। এখন তাঁদের এ ভাবে অপমান আমরা কোনও ভাবেই মানব না।’’ প্রসঙ্গত একথা কারুর অজানা নয় যে প্রথম থেকেই দলের কল্লোল খাঁ, গৌরীশঙ্কর দত্ত, উজ্জ্বল বিশ্বাস, অবনীমোহন জোয়ারদার, রুকবানুর রহমানদের মতো প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। সময় যত গেছে, কমার বদলে ততই বেড়েছে সেই দূরত্ব। আর এ বার করোনা ও আমপান পরবর্তী পরিস্থিতিতে জেলার একাধিক ব্লক সভাপতি পরিবর্তনের পাশাপাশি নতুন জেলা কমিটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সাংসদ তথা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে জেলায় তৃণমূল নেতাদের একাংশের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অভিযোগ যাদের নতুন দায়িত্বে আনা হয়েছে জেলা কমিটিতে সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁদের বেশির ভাগই দীর্ঘ দিন ধরে সক্রিয় রাজনীতি থেকে দূরে আছেন। তাদের কেন পদ দেওয়া হলো আর সেই নিয়েও কেন কোনো আলোচনা করলেন না মহুয়া মৈত্র এই নিয়েই রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ নিয়ে কল্লোল বলেন, “ব্লক সভাপতি পরিবর্তন করতে গেলে রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন লাগে। রাজ্য নেতৃত্ব কোনও অনুমোদন দেননি জানি।” আবার গৌরীশঙ্কর বলেন, “আমাদের অসন্তোষের কথা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছি।” অন্যদিকে জেলার পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এটা দলের সিদ্ধান্ত। আলোচনার মাধ্যমেই ২০২১ সালকে সামনে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”যদিও এই নিয়ে এখনো পর্যন্ত পার্থ চট্ট্যোপাধ্যায় বা শীর্ষ নেতৃত্ব কিংবা মহুয়া মৈত্রর তরফ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -