মমতার হাত থেকে এই অধিকারও কেড়ে নিতে উদ্যোগী মোদি সরকার, প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা চিঠি রাজ্যের! জাতীয় রাজ্য June 13, 2020 কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যের ক্ষমতা খর্ব করা হচ্ছে বলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে দেখা যায় রাজ্যের হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীদের। আর এবার কি ফের আরও একটি বিষয় রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার? জানা গেছে, গত 17 এপ্রিল বিদ্যুৎ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে খসরা বিদ্যুত সংশোধনী বিল প্রকাশ করা হয়। আর তারপরেই তা সমস্ত রাজ্যকে পাঠিয়ে প্রতিটি রাজ্যের বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়। আর এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে নয়া চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের সম্পর্ক নিয়ে।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সরাসরি ভর্তুকি তুলে দিয়ে গ্রাহকদের ব্যাংকে ডিরেক্ট ক্যাশ ট্রান্সফার প্রথা নিয়ে আসতে চাইছে কেন্দ্র। আর এতেই তীব্র আপত্তি রাজ্য সরকারের। ইতিমধ্যে এই ব্যাপারে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যেখানে তিনি লেখেন, “এই ডিরেক্ট প্রথা নিয়ে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। আমরা চাই সরাসরি ভর্তুকি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই বিদ্যুৎ সংক্রান্ত প্রস্তাবিত সংশোধনীর সম্পূর্ণ বিরোধী।” কিন্তু ঠিক কি বিষয় নিয়ে এতে আপত্তি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের! জানা গেছে, আগামী দিনে ইলেকট্রিসিটি কন্টাক্ট এনফোর্সমেন্ট অথরিটি গঠনের কথা এই খসরাতে বলা হয়েছে। ফলে উৎপাদনকারী এবং বণ্টনকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ কেনাবেচার সংক্রান্ত বিবাদের মীমাংসা অত্যন্ত সহজেই করা যাবে। কিন্তু এই বিলে রাজ্যের অধিকার অনেকটাই খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের। আর এখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, কেন কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত কমিশন বিদ্যুতের দাম ঠিক করবে! আশ্চর্যের বিষয়, এই এনফোর্সমেন্ট অর্থনীতিতে রাজ্যের কোনো প্রতিনিধি থাকছে না। যা আরও আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্যগুলোর কাছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর প্রশ্ন, রাজ্যগুলোর সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই হঠাৎ করে এরকম একটা সিদ্ধান্ত কেন নিল কেন্দ্রীয় সরকার? আর লকডাউনের সময় কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এইরকম একটি বিল আনার সাথে সাথেই যেভাবে তার বিরোধিতা করতে শুরু করলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান, তাতে রাজ্যে বনাম কেন্দ্রের সম্পর্ক আরও তলানীতে ঠেকবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -