এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চেয়েও পাচ্ছেন না দায়িত্ব! দলে ক্রমশ ‘ব্রাত্য’ হচ্ছেন হেভিওয়েট মন্ত্রী? তীব্র জল্পনা তৃণমূলে

চেয়েও পাচ্ছেন না দায়িত্ব! দলে ক্রমশ ‘ব্রাত্য’ হচ্ছেন হেভিওয়েট মন্ত্রী? তীব্র জল্পনা তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলনেত্রী বারংবার বলেছেন যে কাজ করবেন না তাঁকে দলের প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ যে কাজ করবে বা করতে চাইবে তাকেই প্রাধ্য দেওয়া হবে দলে। কিন্তু এই কথার সঙ্গে যেন ঠিক মিলল না রাজ্যের এক মন্ত্রীর এই ঘটনা। তিনি নিজে বলছেন ‘কাজ করব’, অথচ তাঁকে দেওয়া হল না দায়িত্ব।

মন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর যাঁর হাতে, তৃণমূলের আইটি টিমে জায়গা পেলেন না তিনি! দলের বৈঠকে মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজেই সেই টিমে থাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব তা সরাসরি খারিজ করে দেওয়ায় নানা জল্পনা শুরু হয়েছে দলের অন্দরে। মন্ত্রী নিজে অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, “আমার কিছু বলার নেই।”

প্রচার কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে দলীয় বিধায়কদেরও সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-ও। সেখানেই তৃণমূল-কংগ্রেসের বর্তমান মাস্টার মাইন্ড প্রশান্ত কিশোরের বা ‘পিকে’র পরামর্শ মতো বিধায়কদের নিজের কেন্দ্রে নির্দিষ্ট কর্মসূচি দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়। সেই সূত্রেই মন্ত্রী তথা দমদমের বিধায়ক ব্রাত্যবাবু জানান, দলের এই প্রচার-দলে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। কী ভাবে যুক্ত হতে পারেন, তা-ও জানতে চান রাজ্য সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। তবে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে এই দলে প্রয়োজন নেই।

ব্রাত্যবাবুর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় দলের মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে কয়েক বছর তৃণমূলের প্রচারের কাজে ব্রাত্যবাবুর মতো বিশিষ্টেরা ছিলেন একেবারে সামনের সারিতে। রাজনৈতিক মত জোরদার হলেও দলীয় ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে থাকা ব্রাত্যবাবুর মতো ব্যক্তিত্বকে সরাসরি প্রত্যাখ্যানের কারণ নিয়ে নানা ব্যাখ্যাও ঘুরছে দলের ভিতরে। তৃণমূল সরকারের গোড়ায় শিক্ষার মতো দফতর পেলেও ক্রমশ গুরুত্বের বিচারে ছোট হয়েছে ব্রাত্যবাবুর জায়গা। দফতরে সময় না দিয়ে নাটক-সিনেমায় ব্যস্ত থাকার কথাও উঠেছে তাঁকে নিয়ে। দলের এক শীর্ষ নেতা অবশ্য বলেন, “মন্ত্রীদের অনেক কাজ থাকে। সম্ভবত সে কারণেই তাঁকে যুক্ত করা হয়নি। প্রয়োজন হলে তিনিও কাজ করবেন।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পিকে’র টিম অবশ্য তৃণমূলের প্রচারের জন্য তাঁদের আইটি টিমকে নতুন করে সাজাচ্ছে। বিধানসভা কেন্দ্র পিছু এই টিম সাজাতে বিধায়কদের কাছে যে লোক চাওয়া হয়েছে, তার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা ও প্রযুক্তি পরিচয় থাকাও আবশ্যিক করে দেওয়া হয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ ও তার পরে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ নামে যে দু’টি কর্মসূচি টিম পিকে নিয়েছে, তা জাতীয় স্তরে যে কোনও প্রচারের সমগোত্রীয় বলে তাদের দাবি। এবং তাদের মতে, ওই কর্মসূচি প্রত্যাশামতো প্রভাবও ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য দলের সঙ্গে টিম-পিকে নিয়মিত যোগাযোগ রাখে। বিজেপি যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করছে, তার পাল্টা হিসেবে একেবারে পেশাদারি পরামর্শেই এগোচ্ছে তৃণমূল। এবং তার পরিকল্পনা ও পরিচালনাও চলছে কেন্দ্রীয় ভাবেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!