এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > করোনায় শেষ নয়, ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞমহলের!

করোনায় শেষ নয়, ভয়াবহ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে বিশ্ব, এমনটাই দাবি বিশেষজ্ঞমহলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিশ্বজুড়ে আর্থিক বৃদ্ধি ধীর গতিতে হওয়ায় এবং জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যার কারণে খাবারের যোগানে টান পড়তে শুরু করেছিল অনেক আগে থেকেই। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজুড়ে চলা গত কয়েক মাস ধরে করোনা তান্ডব খাদ্যাভাব বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও ভারতের ক্ষেত্রে এতদিন ছবিটা একটু ভালোর দিকে ছিল বলেই জানা যায়। কিন্তু আগামী দিনে ভারতেও যে প্রবল খাদ্যসংকট দেখা দিতে চলেছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করল জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের নিরিখে গত দশকে ভারতে পুষ্টিহীন মানুষের সংখ্যা কমেছে প্রায় 60 কোটি। কিন্তু বর্তমানে বেড়ে চলা করোনার আবহে এ বছরের শেষে প্রায় 13 কোটি 20 লাখ মানুষ অনাহারের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সোমবার জাতিসংঘের প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে বলা  হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর ও মানসম্মত খাবার। আর তার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারকে উদ্যোগী হতে আবেদন জানিয়েছে জাতিসংঘ।

সম্প্রতি জাতিসংঘের ‘স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন দ্য ওয়ার্ল্ড 2020′  শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর পর্যন্ত 200 কোটি মানুষ খাদ্যাভাবে ভুগেছে। যার মধ্যে 74 কোটি 60 লাখ মানুষ তীব্র খাদ্যাভাবে ভুগছে এখনো। এবং এই সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে। তবে এদিন জাতিসংঘ স্পষ্টতই বলে দিয়েছে, করো না পরিস্থিতির আগে বিশ্বজুড়ে খাদ্যাভাব ছিলই, কিন্তু বর্তমানে তা আরো বেড়ে গেছে করোনার কারণে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জাতিসংঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, 2019 সালে চরম খাদ্যাভাবে ভুগেছে আফ্রিকার দেশগুলোর প্রায় 7 কোটি 70 লাখ মানুষ। আর এরপরেই জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশ সংকটে পড়েছে, সেখানকার মানুষ ভুগতে চলেছে তীব্র খাদ্যাভাবে। সেই সংখাটাও কম কিছু নয়। প্রায় 3 কোটি 40 লাখ। অন্যদিকে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সমস্ত দেশকে আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি কৃষি উৎপাদনের   ক্ষেত্র থেকে করসংক্রান্ত জটিলতা কমানো যায়।

সেক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ হয়তো অল্প হলেও পুষ্টিকর খাদ্য পেতে পারে। তবে বলা হচ্ছে করোনার প্রভাবে যেভাবে পৃথিবীজুড়ে খাদ্য সংকট ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, তাতে আগামী দিনে অনাহার দূর করার যে নির্দিষ্ট লক্ষ্য নেওয়া হয়েছিল তা কিন্তু সফল হওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। আর খাদ্যাভাবের সাথে সাথেই এসে দেখা দেবে অপুষ্টিজনিত সমস্যা, যা আগামী দিনে বড় আকার ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সাথে সাথে এবার দেশগুলোর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ খাদ্যাভাব ঠেকিয়ে রাখা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!