তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিকে পেটানোর অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার গেরুয়া শিবিরের ২ কর্মী! তৃণমূল বর্ধমান বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 22, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক মতান্তর, সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রসঙ্গত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হানাহানির বিষয়টি এখন যে রোজকার বিষয় হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া অঞ্চলে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির জনৈক সদস্যকে প্রচন্ডভাবে মারধরের অভিযোগ উঠে এলো বিজেপির দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এই দুই বিজেপি সদস্যকে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদিকে আহত তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুবীর চক্রবর্তী চিকিৎসার্থে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন।স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কাটোয়া ২ ব্লকের পলসোনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুয়ারা গ্রামে জনৈক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুবীর চক্রবর্তী বাড়িতে রাত সাড়ে দশটা নাগাদ অকস্মাত্ আক্রমন করে বসেন বিজেপি দুজন সদস্য সতীশ চন্দ্র ও সূর্যদেব ঘোষ। অভিযোগ উঠেছে বিজেপির এই দুই সদস্য তৃণমূল কর্মী সুবীর চক্রবর্তীর বাড়িতে হঠাৎ চড়াও হয়ে প্রচন্ড ভাঙচুর, হামলা চালিয়েছেন। সেসময় ব্যক্তিগত কারণে সুবীর চক্রবর্তী বাড়িতে ছিলেন না। কিন্তু তার বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে তিনি এর কারণ জানতে ওই দুই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। এরপর পি দুই বিজেপি সদস্যদের বাড়ি যাবার পথেই সুবীর বাবুর উপর হঠাৎ হামলা চালায় ওই দুই বিজেপি সদস্য। অভিযোগ উঠেছে সুবীর চক্রবর্তীকে রাস্তায় ফেলে, তাঁর উপরে প্রাণঘাতী হামলা করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাস্তার ধারে পড়ে থাকা সুবীর বাবু কে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকা আহত সুবীর বাবু জানিয়েছেন যে, তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেই তার ওপরে এই প্রাণঘাতী হামলা চালানো হয়েছিল। ভাগ্যবশে তিনি নিজের প্রাণ রক্ষা করতে পেরেছেন, আহত হয়েছেন তিনি খুব। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করে তিনি জানিয়েছেন, ” বিজেপি লোকজনই এসব করেছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য সুবীর চক্রবর্তীর উপরে প্রাণঘাতী হামলার সুবিচারের আশায় পুলিশের দ্বারস্থ হলেন স্থানীয় তৃণমূল সদস্য মানিক চট্টোপাধ্যায়। এ বিষয়ে তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আর তার অভিযোগের ভিত্তিতেই শেষ পর্যন্ত পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বিজেপি সদস্য সুদীপ চন্দ্র ও সূর্যদেব ঘোষ কে। তবে বর্ধমান জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধেও উথ্থাপিত এই অভিযোগ কে সম্পূর্ণভাবে নস্যাৎ করতে দেখা গেল। এ ব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণ করলেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল কে অভিযুক্ত করে তিনি জানালেন যে, বিজেপি নয় তৃণমূলের বেশকিছু সদস্য একজন বিজেপি সদস্যকে তাঁর বাড়ি থেকে ডেকে এনে, তাঁকে প্রচন্ড ভাবে মারধর করেছে। আহত এই বিজেপি সদস্য সম্প্রতি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তৃণমূলের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেছেন, ” আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।” আপনার মতামত জানান -