পুরসভায় “বেআইনি” নিয়োগে প্রতিবাদ করতেই পদ হারালেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! শুরু তীব্র শোরগোল! কলকাতা তৃণমূল রাজ্য July 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –বর্তমানে দলের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে একের পর এক কড়া পদক্ষেপ। যেখানে যে নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, সেখানে সেই নেতার বিরুদ্ধে কখনও শোকজ, আবার কখনও বা সাসপেন্ডের রাস্তায় হাঁটছে তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই সম্প্রতি হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভায় একটি বেআইনি নিয়োগের প্রতিবাদে অস্থায়ী সাফাই কর্মীরা আন্দোলন করেন। আর তাদের পাশেই দাঁড়াতে দেখা যায় এই পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান তৃণমূলের অমিত রায়কে। আর সাফাই কর্মীদের এই আন্দোলনের পাশে পৌরসভার প্রশাসক তথা প্রাক্তন চেয়ারম্যান দাঁড়ানোয় কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে এবার বেআইনি নিয়োগের প্রতিবাদ করা সেই অমিত রায়কে প্রশাসক মন্ডলী থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্যের পৌর এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনাতেই এখন নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতেই প্রশাসক মন্ডলী থেকে সরিয়ে দেওয়া হল অমিত বাবুকে? কিন্তু যেখানে দল বারবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলছে, সেখানে অমিতবাবু এইরকম কাজ করলেও কেন তাকে এভাবে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল? এদিন এই প্রসঙ্গে প্রশাসক মন্ডলী চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “পুর দপ্তর থেকে চিঠি পেয়েছি। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রশাসক পদ থেকে অমিতবাবুকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। এটা পুরোপুরি সরকারি নির্দেশ। এর বেশি আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এই ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা এবার ব্যাপক ভাবে চেপে ধরেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। এদিন এই প্রসঙ্গে পৌরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের সমীর মজুমদার বলেন, “পৌরসভার নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে সরব হওয়ায় দলের একাংশের রোষের বলি লেন অমিতবাবু।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে হুগলি জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের এখনো এমন অবস্থা যে দলের কেউ দুর্নীতির প্রতিবাদ করলেও, তাকে রেয়াত করা হয় না। অমিতবাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তৃণমূল সেটাই বুঝিয়ে দিল।” কিন্তু এই ব্যাপারে কি বলছেন সেই অমিতবাবু? এদিন তিনি বলেন, “আমি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সততায় বিশ্বাসী। আমার বিশ্বাস দিদিকে না জানিয়ে আমাকে সরানো হয়েছে। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোয় অন্যায় করা হল আমার সঙ্গে। এই ঘটনা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করার জেদ আরও বাড়িয়ে দিল।” একাংশের প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে বলে সাফাই কর্মীদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা, সেখানে কেন তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে? তাহলে কি মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বললেও, দলীয় নেতা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে তৃণমূল এটাই প্রমাণ করে দিল যে, দল এখনও শুদ্ধিকরণের রাস্তায় হাঁটতে কিছুটা হলেও ঢোক গিলছে! এই ঘটনা এমন সব প্রশ্নই তুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -