বিশ্বভারতী ঘিরে উত্তাপ বাড়ছে রাজ্যে! মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য August 18, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মাঝেমধ্যেই সরকার বনাম রাজ্যপালের দ্বৈরথ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার বিশ্বভারতী নিয়ে ক্রমশ উত্তাপ বাড়ছে রাজ্যে। পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রথম থেকেই একটা চাপা অসন্তোষ কাজ করছিল। কিন্তু সোমবার সকালে জেসিবি চড়ে বোলপুরের বহু মানুষ পৌষ মেলার মাঠে আসেন। আর তারপরেই সেই প্রাচীর এবং দরজা ভেঙে দেন তারা। যার পরবর্তীতে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্বাভাবিকভাবেই ঐতিহ্যমন্ডিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এরকম ঘটনা ঘটার পরেই টুইট করে নিজের মত প্রকাশ করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা হচ্ছে বলেও আশ্বাস দেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পৌষ মেলার মাঠ ঘেরা নিয়ে কিছুদিন ধরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে শান্তিনিকেতন। গত শনিবার বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সেখানে প্রাচীর দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেয়। আর এরপরই বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। শনিবার সন্ধ্যার সময় অধ্যাপক এবং কর্মীদের রেজিস্টারের পক্ষ থেকে একটি মেসেজ পাঠানো হয়। আর এই রবিবার উপাচার্যের উপস্থিতিতে প্রাচীর দেওয়ার জন্য জেসিবি দিয়ে গর্ত করার কাজ শুরু হতেই মেলার মাঠে ভিড় জমান অনেকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কেন এভাবে প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেন বেশ কিছু মানুষ। তবে উপাচার্য কথা বলতে রাজি না হওয়ায় সোমবার সকালে বাসিন্দারা জেসিবি মেশিন দিয়ে সেই প্রাচীর ভেঙে দেন। আর এর পরেই এই গোটা ঘটনায় পরিপ্রেক্ষিতে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এদিন তিনি লেখেন, “উপাচার্য জানিয়েছেন নিয়ম অমান্য করে কিছু মানুষ পৌষ মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়েছে। তাণ্ডব চালায়। শিক্ষার মন্দিরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি। বিশ্বভারতীতে আবার শান্তির পরিবেশ তৈরি হবে।” সব মিলিয়ে শান্তিনিকেতনের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে গোটা পরিস্থিতি সমাধানের আশ্বাস দিলেন। তবে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -