মারামারি, ভাঙচুর, হিংসা, খুন করলে কাউকে বরদাস্ত নয়? গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দমনে ক্রমশ কড়া তৃণমূল? তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য August 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সবথেকে বড় বিড়ম্বনার কারণ তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। 2011 সালে দল ক্ষমতায় আসার পর পুরনো বনাম নতুন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে মাঝেমধ্যে বচসা এবং সংঘর্ষ লেগেই থাকত। গত লোকসভা নির্বাচনে এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে অনেক আসনে হারতে হয় তৃণমূল কংগ্রেসকে। তবে ভবিষ্যতে যাতে এই দিন না আসে এবং সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সম্পূর্ণরূপে কমিয়ে ফেলা যায়, তার জন্য বিভিন্ন জেলায় নেতৃত্ব বদল করে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সম্প্রতি নদীয়া জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্ব পেয়েছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। আর দায়িত্ব নেওয়ার পরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল তাকে। সূত্রের খবর, বুধবার কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যোগদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আর সেখানেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে চাঁচাছোলা মন্তব্য করতে দেখা যায় এই তৃণমূল নেত্রীকে। মহুয়া মৈত্র বলেন, “কে কার গ্রুপ করতে গিয়ে মারামারি করছে, আমি দেখব না। কে দলের ছেলে, কতদিন দল করেছে দেখব না। মারামারি, ভাঙচুর, হিংসা করলে কাউকে বরদাস্ত করা হবে না। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বা ব্লক সভাপতি কেউ প্রটেকশন পাবেন না। ভিন্নমত থাকতেই পারে। আমরা ডানপন্থী দল। আমার আর উজ্জ্বলদার কথা কাটাকাটি হতেই পারে। মতের অমিল থাকতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে আমরা একই দল করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাতার তলায় রয়েছি। এটা কিন্তু আমি চাপড়ার কর্মকর্তাদেরও বলেছি। আবারও বলছি, আমরা এগুলো একটুকুও সহ্য করব না।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদীয়া জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। মাঝে মধ্যেই এক নেতা অপর নেতার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। তাই এই পরিস্থিতিতে সামনের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যদি সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে আনা না যায়, তাহলে ভোটব্যাংকে তার প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা রয়েছে। তাই এমত পরিস্থিতিতে এবার দায়িত্ব নেওয়ার পরই সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে কড়া বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে মহুয়া মৈত্রকে। একাংশ বলছেন, অতীতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার দলকে একত্রিত হয়ে চলার বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু তার কথাও শোনেননি অনেকে। ফলে মহুয়া মৈত্রের মত নেত্রী কড়া বার্তা দিলেও, তা কতটা নীচুতলার তৃণমূল কর্মীরা মেনে চলেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -