প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন ভাঙা-গড়ার খেলায় নেমেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। কখনও বিজেপি আবার কখনও বা তৃণমূল একে অপরের ঘর ভেঙে বিরোধী রাজনৈতিক দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ব্যস্ত। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এক পক্ষ আরেক পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের দিকে টেনে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বলাবাহুল্য, তৃণমূলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শক্তিশালী ভোটব্যাঙ্ক সংখ্যালঘুদের দিকে রয়েছে। গত 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের বাড়তি সমর্থন তৃণমূলের মুখ কিছুটা বাচিয়ে দিয়েছিল।

কিন্তু এবার সেই সংখ্যালঘুদের নিজেদের দিকে টেনে পাল্টা তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় 800 জন সংখ্যালঘু কর্মী-সমর্থক। জানা গেছে, গ্রামীণ হাওড়া এলাকা থেকে সিপিএম, কংগ্রেস এবং তৃণমূল দল ত্যাগ করে ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লেখালেন সংখ্যালঘুদের একটি বিরাট অংশ। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংকে থাবা দিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির যোগদান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে অনেকটাই পরিবর্তিত করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, শনিবার হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে তাদের জেলা কার্যালয়ে যোগদান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির সভাপতি শিবশংকর বেজ, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার নবনির্বাচিত সভাপতি আলী হোসেন সহ অন্যান্যরা।

একাংশের মতে, বিজেপি সংখ্যালঘু বিরোধী দল বলে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো অভিযোগ করে। এমনকি রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে মাঝেমধ্যেই সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার প্রায় 800 জন সংখ্যালঘু নেতাকর্মীকে তৃণমূল, কংগ্রেস এবং সিপিএম থেকে নিজেদের দলে টেনে বিজেপি প্রমাণ করে দিল যে, তারা এবার সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্কের দিকেও বাড়তিভাবে নজর দিতে চলেছে। তবে এই দলবদলের ফলে বাংলার রাজনৈতিক সমীকরণ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।