এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেককে “রাবণের ইতিহাস” স্মরণ করালেন কৈলাস! অহংকার পতনের বার্তা!

অভিষেককে “রাবণের ইতিহাস” স্মরণ করালেন কৈলাস! অহংকার পতনের বার্তা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক আক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমানে বিজেপির হয়ে জোরদার ব্যাটিং করছেন কিছুদিন আগেই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগদানকারী শুভেন্দু অধিকারী। বিভিন্ন সভায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করছেন তিনি। আর এবার সেই শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুক পূর্ব মেদিনীপুরে মাটিতে পা রেখে অভিষেকবাবু কড়া ভাষায় চ্যালেঞ্জ করেছেন শুভেন্দু অধিকারীকে।

অনেক ক্ষেত্রেই তিনি “তুই-তুকারি” শব্দ প্রয়োগ করে শিষ্টাচারের মাত্রা অতিক্রম করেছেন বলেই অভিযোগ একাংশের। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে কার্যত সরব হলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে ‘বাছা রাবনের অহংকার টেকেনি” বলে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতিকে বার্তা দিলেন বিজেপির এই হেভিওয়েট নেতা।

বলা বাহুল্য, শনিবার কাঁথিতে সভায় বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারীকে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি বলেন, “আমাকে বলছে, দেখে নেব। এই করব, সেই করব। আয়, তোর বাপকে গিয়ে বল, বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছি। যা করার কর। আয়, হিম্মত আছে! এই মেদিনীপুরের মাটিতে, তোমার মাটিতে, তোমার পাড়ায় দাঁড়িয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যাচ্ছি।” আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই ধরনের মন্তব্য করার পরেই তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় বিজেপিকে।

এদিন এই প্রসঙ্গে অভিষেকবাবুর ভাষণের একটা অংশ টুইট করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর তারপরেই তিনি লেখেন, “কয়লা মাফিয়া, সোনা মাফিয়া, গরু পাচারকারী, সিন্ডিকেটের তথাকথিত হোতা দেখুন, কি ধরনের ভাষায় কথা বলছে! বাছা রাবনের অহংকারও টেকেনি।” বিশ্লেষকরা বলছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় এই কথা বলে আবারো বিতর্কে সৃষ্টি করলেন ইতিমধ্যেই নাম করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলাবাজ করে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যা নিয়ে শুভেন্দুবাবু এবং অভিষেকবাবুর মধ্যে আইনি জটিলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এদিন কাথির সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাবণের সঙ্গে তুলনা করে “অহংকারের পতন হবে” বলেই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা। যার ফলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কড়া ভাষায় এই আক্রমণের জবাব দেওয়া হবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর তৃণমূলের চিন্তা কিছুটা হলেও বেড়েছে। আর সেই কারণেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূলের শীর্ষস্তরের নেতা-নেত্রীরা এখন ময়দানে নেমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিজেদের বক্তব্য নাম না করে সেই শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে কাথির সভা থেকে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করবেন, তেমনটা আগেভাগেই ধরে নেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু যেভাবে “তুই-তুকারি” করে তিনি শুভেন্দুবাবুকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন, তাতে রীতিমত বিতর্ক দানা বাঁধতে শুরু করে। আর তারপরেই বাংলার সংস্কৃতির কথা তুলে ধরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বক্তব্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!