এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অভিষেকের খাসতালুকে বিধায়কের বিদ্রোহ! অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের!

অভিষেকের খাসতালুকে বিধায়কের বিদ্রোহ! অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূলের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডায়মন্ডহারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক হিসেবে পরিচিত। আর এই লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার কারণ এখানকার সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। স্বাভাবিকভাবেই বর্তমান রাজনীতিতে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী সেই “ভাইপো” শব্দকে উচ্চারণ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। যার পাল্টা ডায়মন্ডহারবারের সভা থেকে জবাব দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কিন্তু অভিষেকবাবু ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে সদ্য দলত্যাগী শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিলেও, তার সেই সভায় ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারের অনুপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন তৈরি হয়েছিল। আর এবার জল্পনা বাড়িয়ে প্রশান্ত কিশোরের টিমের কাছে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে দায়সারা ভাবে তাকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি।

স্বাভাবিক ভাবেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে তৃণমূল বিধায়কের মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য শুনতে পাওয়ায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। বিরোধীরা প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তৃণমূল সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলা হয়। কিন্তু তিনি নিজের গড়েই সংগঠনকে রক্ষা করতে পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি কীভাবে বিরোধীদের মোকাবিলা করবেন, এখন তা নিয়ে সমালোচক মহলের অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 27 ডিসেম্বর ডায়মন্ডহারবারে একটি সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারকে। কেন বিধায়ক অনুপস্থিত, এই প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান দাবি করেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণেই দীপকবাবু এই সভায় আসতে পারেননি। কিন্তু এবার তার 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কার্যত এই সভায় আমন্ত্রণ জানানোর প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন সেই দীপক হালদার।

স্বাভাবিকভাবেই তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে এবার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। তাহলে কি দীপকবাবু দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের সভায় অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে এই রকম ক্ষোভ প্রকাশ করে দলবদলের জল্পনাকে বাড়িয়ে দিলেন! কেন তিনি সভায় উপস্থিত ছিলেন না! এদিন এই প্রসঙ্গে দীপক হালদার বলেন, “দায়সারাভাবে আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।”

একইভাবে জল্পনা বাড়িয়ে 15 জানুয়ারির আগে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। স্বাভাবিকভাবেই নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে তার এই ধরনের মন্তব্য এখন ব্যাপক গুঞ্জনের সৃষ্টি করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। একাংশ বলছেন, কিছুদিন আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, পারলে ডায়মন্ডহারবারে এসে যেন নিজের ক্ষমতা প্রদর্শন করে। আর তারপরই তিনি ডায়মন্ডহারবারে গিয়ে সভা করবেন বলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন সেই শুভেন্দু অধিকারী। অনেকে বলছেন, শুভেন্দুবাবুর প্রধান ক্ষোভের কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলে তার দিনকে দিন উত্থানের কারণে কার্যত তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর।

যার ফলস্বরুপ শেষ পর্যন্ত বিরোধী শিবিরে নাম লেখাতে হয়েছে তাকে। আর গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর সাথে সাথেই এবার তৃণমূলের ভাঙন ধরানো যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর কাছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই পরিস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত বেকায়দায় ফেলে দিল শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাহলে কি এবার ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার দলত্যাগ করবেন! যদি এই সম্ভাবনা বাস্তব হয়, তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব নিয়ে দলের অন্দরে বড়সড় প্রশ্ন উঠে যাবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!